|| ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
কোনও জল্পনা নয়, ঘূর্ণিঝড় তৈরি হচ্ছে- সরকারিভাবে জানিয়ে দিল ভারতীয় মৌসম ভবন
প্রকাশের তারিখঃ ২৪ মে, ২০২৪
ভারতীয় মৌসম ভবনের সাম্প্রতিক বুলেটিনে জানানো হয়েছে, বুধবার দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপরে যে নিম্নচাপ ছিল, তা উত্তর-পূর্ব দিকে এগিয়ে গিয়েছে।
এখন (বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টা ৩০ মিনিট) পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের উপরে সুস্পষ্ট নিম্নচাপ হিসেবে অবস্থান করছে। ভারতীয় মৌসম ভবনের সাম্প্রতিক বুলেটিনে জানানো হয়েছে, বুধবার দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপরে যে নিম্নচাপ ছিল, তা উত্তর-পূর্ব দিকে এগিয়ে গিয়েছে।
এখন (বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টা ৩০ মিনিট) পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের উপরে সুস্পষ্ট নিম্নচাপ হিসেবে অবস্থান করছে।
সেই সুস্পষ্ট নিম্নচাপ আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে যাবে এবং শুক্রবার (২৪ মে) সকালের মধ্যে বঙ্গোপসাগরের মধ্যভাগে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। তারপর আরও উত্তর-পূর্ব দিকে এগিয়ে যেতে থাকবে।
ভারতীয় মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার (২৫ মে) সকালের মধ্যে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপরে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। যে ঘূর্ণিঝড়ের নাম হবে ‘রেমাল’। নামটা দিয়েছে ওমান।
ঘূর্ণিঝড় কোনদিক দিয়ে যাবে? মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার সকালের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পরে সেটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হতে থাকবে। তারপর রবিবার সন্ধ্যার মধ্যে প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে বাংলাদেশ এবং সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের কাছে পৌঁছাবে।
তবে সেই ঘূর্ণিঝড়ের ঠিক কোথায় ল্যান্ডফল হবে, কোথায় আছড়ে পড়বে, সে বিষয়ে আপতত মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়নি।
ঝড়ের বেগ কত হবে? ভারতীয় মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার যখন প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে বাংলাদেশ এবং সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের কাছে পৌঁছাবে রেমাল, তখন ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার থেকে ১২০ কিলোমিটার বেগে তাণ্ডব চালাতে পারে। সঙ্গে ভারী বৃষ্টি হবে। উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার মতো জেলায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
আপাতত যা পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, তাতে শনিবার থেকেই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে। সব জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ মেদিনীপুর এবং পূর্ব মেদিনীপুরের কয়েকটি জায়গায় ভারী বৃষ্টি (৭০ মিলিমিটার থেকে ১১০ মিলিমিটার) হতে পারে। ওই তিনটি জেলায় ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিমি বেগে ঝড় উঠবে। বাকি জেলাগুলিতে ঝড়ের বেগ থাকবে ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিমি। সব জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে এপি)
5/5 আপাতত যা পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, তাতে শনিবার থেকেই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে। সব জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ মেদিনীপুর এবং পূর্ব মেদিনীপুরের কয়েকটি জায়গায় ভারী বৃষ্টি (৭০ মিলিমিটার থেকে ১১০ মিলিমিটার) হতে পারে। ওই তিনটি জেলায় ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিমি বেগে ঝড় উঠবে। বাকি জেলাগুলিতে ঝড়ের বেগ থাকবে ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিমি। সব জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.