|| ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’, হার মানাবে আয়লা ও আমফানকেও
প্রকাশের তারিখঃ ১৮ মে, ২০২৪
ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’, হার মানাবে আয়লা ও আমফানকেও। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’, যা চলতি মাসের শেষের দিকে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, ঘূর্ণাবতটি যদি ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হয় তাহলে সেটি আইলা কিংবা আমফানের চেয়েও বেশি শক্তিশালী হয়ে ওঠতে পারে।ভারতীয় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে আগামী ২৪ মে রাত থেকে উপকূল এলাকায় বৃষ্টি শুরু হতে পারে। বৃষ্টি চলতে পারে ২৬ মে পর্যন্ত
ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং দেশটির সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, এটি আগের ঘূর্ণিঝড়গুলোর থেকেও বেশি শক্তিশালী হতে পারে। শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ মে মাসের শেষের দিকেই আছড়ে পড়তে পারে। আগামী ২০ মে থেকে এই ঝড়ের গতিপথ স্পষ্ট হতে পারে।
ভারতের আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, ২৪ মে’র দিকে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে শক্তি বাড়িয়ে স্থলভাগের দিকে অগ্রসর হবে এই ঝড়। ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়তে পারে পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশের উপকূলে।
এই বিষয়ে বেসরকারি আবহাওয়া সংস্থা বাংলাদেশ আবহাওয়া অবজারভেশন টিম (বিডাব্লিউওটি) এর চেয়ারম্যান পারভেজ আহমেদ পলাশ বলেন, আগামী ২০ থেকে ২২ মে দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। যা পরবর্তীতে শক্তি বৃদ্ধি করে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে।
তিনি আরও বলেন, তবে এটি সৃষ্টি হওয়ার আগেই এর শক্তিমত্তা সম্পর্কে ধারণা দেওয়া ও এর গতিপথ সম্পর্কে ধারণা দেওয়া সম্ভব নয়। পূর্বাভাসে এক্ষেত্রে যথেষ্ট অস্থিতিশীলতা থাকবে; যা হরহামেশাই পরিবর্তন হতে পারে। তাই একটি পরিষ্কার ধারণা পেতে আমাদের অন্তত ২০ মে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এখন পর্যন্ত যে অবস্থা দেখা যাচ্ছে তাতে ঘূর্ণিঝড়টির মিয়ানমারের উপর দিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবত সৃষ্টি হতে পারে। তবে এখনই নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না।
তবে ভারতীয় আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২০ মে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে। সেটি সোজা উত্তর দিকে শক্তিবৃদ্ধি করে ২৪ মে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এরপর ২৫ মে সন্ধ্যার পর সেটি পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশ দিয়ে ভূভাগে প্রবেশ করতে পারে বলে ধরাণা করা হচ্ছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে আগামী ২৪ মে রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হতে পারে উপকূল এলাকায়। বৃষ্টি চলতে পারে ২৬ মে পর্যন্ত।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের ২৫ মে সুন্দরবনে আঘাত হেনেছিল ঘূর্ণিঝড় আইলা। সেই ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের ১৫তম বর্ষের সন্ধ্যাতেই ঘূর্ণিঝড় 'রেমাল' আছড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’-এর নামকরণ করেছে ওমান। আরবিতে যার অর্থ বালি। অবশ্য এই নামে ফিলিস্তিনের গাজা থেকে ১.৭ কিলোমিটার দূরে একটি শহরও রয়েছে। তবে কি এবার বাংলাদেশের ভূ-ভাগের দিকে ধেয়ে আসছে সেই ‘রেমাল’? আগামী ২০ মে তারিখের পর বিষয়টি মোটামুটি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.