|| ১৯শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৫ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ১৯শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি
সিলেটে হযরত শাহজালাল (রহ:) এর বার্ষিক ওরস মোবারক উপলক্ষে ‘লাকড়ি তোড়া’ উৎসব সম্পন্ন
প্রকাশের তারিখঃ ৭ মে, ২০২৪
সিলেটে অলিকুলের শিরোমণি হযরত শাহজালাল মুজার্রাদ ইয়ামনী (রহ:) মাজার শরীফের ৭০৫ তম বার্ষিক পবিত্র ওরস মোবারক
আগামী ১৯ ও ২০শে জ্বিলকদ
২৮ ও ২৯ শে মে ২০২৪ মঙ্গল ও বুধবার অনুষ্টিত হইবে। এ উপলক্ষে আয়োজিত ’'লাকড়ি তোড়া' উৎসব সম্পন্ন হয়েছে।
লাকড়ি তোড়া উৎসব উপলক্ষে দরগাহ-ই-হযরত শাজালাল (রঃ) মাজার প্রাজ্ঞনে সোমবার
(৬ মে ২০২৪) সকাল থেকে জাতি-ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে হাজার, হাজার আশেকানে ভক্ত অনুরাগীদের ঢল নেমে।
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও আজ সোমবার জোহরের নামাজের পর শাহ জালাল (রহঃ) দরগাহে মিলাদ শেষে নাগারা বাজার সঙ্গে, সঙ্গে ভক্তরা শহরতলির লাক্কাতোড়া ও মালনিছড়া চা বাগানের মাঝামাঝি নির্ধারিত টিলার উদ্দেশে যাত্রা করেন।
এ উপলক্ষে জিকির আযকার, ভক্তিমূলক গান ও নানা রকম বাদ্যযন্ত্রের সুরে মুখরিত ছিলো গোটা মাজার এলাকা ও লাকড়ি তোড়ার পুরো যাত্রাপথ।
সেখানে গিয়ে আবারও মিলাদ পড়া হয়। এরপরই শুরু হয় লাকড়ি সংগ্রহ। লাকড়ি সংগ্রহ শেষে ‘লালে লাল- শাহজালাল’ ‘শাহজালাল বাবা কি জয়’, ‘৩৬০ আউলিয়া কি জয়’ এবং ওলি আউলিয়া কি- জয়’-এ রকম নানা শ্লোগান দিয়ে মিছিল করে মাজারে ফেরেন ভক্তরা। মাজারের পুকুরে লাকড়ি ধুয়ে নির্ধারিত স্থানে রেখে দেন তারা। এসব লাকড়ি বা কাঠ বার্ষিক ওরসের সময় শিরনি রান্নার কাজে ব্যবহার করা হয়।
ইতিহাসের বর্ণনা মতে সুফি সাধক হযরত শাহজালাল (রহঃ) এর স্মৃতি বিজড়িত এ উৎসব প্রতি হিজরী বর্ষের ২৬ শে শাওয়াল পালন করা হয়। শ্রমের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা ও আভিজাত্যের গৌরব ধ্বংসের শিক্ষা নিয়ে প্রায় ৭শ’ বছর ধরে সিলেটে এ উৎসব উদযাপন করা হচ্ছে।
৩৬০ আউলিয়ার সর্দার, অলিকুলের শিরোমণি হযরত শাহজালাল (রহঃ) জীবদ্দশা থেকে এভাবে লাকড়ি সংগ্রহ করা হতো। সে চিরায়ত ঐতিহ্য বিগত ৭শ' বছর ধরে ওরসের তিন সপ্তাহ আগে ‘লাকড়ি তোড়া’ উৎসব সিলেটে সম্পন্ন হয়ে আসছে।
Copyright © 2025 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.