|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
কালী পূজা উপলক্ষে অসহায় দরিদ্র পরিবারের স্কুল পড়ুয়া দের পাশে বিশিষ্ট সমাজসেবী অমল কর্মকার
প্রকাশের তারিখঃ ৩ মে, ২০২৪
পশ্চিম বঙ্গে হুগলী জেলার খানাকুল থানার ঘোষপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেরা পাড়া ও সংলগ্ন অন্যান্য পাঁচ - ছয়টি পাড়ার সম্মিলিত প্রয়াসে রঘুনাথপুর পশ্চিম পাড়া আমরা সবাই ক্লাবের উদ্যোগে বাৎসরিক শ্যামা পূজা মহা ধুম ধামের সাথে পালিত হল। তারকেশ্বর নদীর কূলে এই পূজার আয়োজন করা হয়। এই মুহূর্তে মৃত প্রায় এই নদী স্থানীয় চাষ বাসের একমাত্র ভরসা, আবার এই নদী ই বর্ষা কালে বিভতস আঁকার ধারণ করে নদী বাঁধ ছাপিয়ে গ্রামের দুর্দাসার কারন হয়। শশ্য শ্যামলা সুন্দর গাছপালা পরিবেষ্টিত পরিবেশের কারনে তপ্ত দহন খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারে না। এই পুজোর অন্যতম বিশেষ আকর্ষণ গ্রাম বাসীদের পক্তি ভোজন। প্রায় সাত শতাধিক মানুষ অংশ গ্রহণ করেন। বেরা পাড়ার রাখি ও কুনাল সাত্ত্বিক উপবাস থেকে অন্যান্যদের নিয়ে পূজা কর্ম সমাধা করেন। এ ছাড়া যাত্রা পালা, খেলা প্রতিযোগিতা বিশেষ ভাবে আয়োজন করা হয়।কলকাতার গোপাল কর্মকার মেমোরিয়াল সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সহযোগিতায় এ বছরের বিশেষ উল্লেখযোগ্য আয়োজন স্থানীয় প্রাথমিক স্তরের বাচ্চাদের মধ্যে খাতা -পেন্সিল -সার্পনার -স্কেল ও নতুন বস্ত্র বিতরনের ব্যবস্থা করা। বিশিষ্ট সমাজসেবী অমল কর্মকার তাহার পিতা প্রয়াত গোপাল কর্মকার এর স্মরনে গঠিত "গোপাল কর্মকার মেমোরিয়াল সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি।এই ব্যানারে দীর্ঘ ১৪ বৎসর যাবৎ সমাজের দুর্বলশ্রেণীর মানুষ যারা রক্তের সম্পর্কের বাইরের পরিবারভুক্ত, তাঁদের পাশে থেকে সুখ দুঃখের অংশীদার হয়ে কাজ করে চলেছেন। সে দূর্গা পূজা হোক বা ঈদ, কালী পূজা অথবা নাম সংঙ্কিরতন বা খ্রিস্টমাস অথবা যে কোন দুর্যোগ বা বিপর্যয়ে এবং কর্মক্ষম হীন অনাহারকলিস্ট দুর্বল মানুষদের সাধ্যমত মাসিক রেশন সামগ্রী নিয়ে সদা হাজির পৌনে শতক বৎসরের প্রবীণ অমল কর্মকার। এ বৎসরও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি।এবছর বাৎসরিক কালীপূজা উপলক্ষে দুস্ত প্রাথমিক স্তরের ছাত্র ছাত্রীদের জন্য খাতা - পেন্সিল-সারপেনার -স্কেল সহ নুতন জামাকাপড় দেবার অনুরোধ রক্ষা করার জন্য তীব্র দহন জ্বালা উপেক্ষা করে পূজা মন্ডপে উপস্থিত থেকে নির্ধারিত বাচ্চাদের হাতে বস্ত্র তুলে দেন অমল কর্মকার ও সাথী বিশ্বনাথ চক্রবর্তী, তপন চক্রবর্তী ও শ্রীমতি কনা সাহা সহ ক্লাব কর্তৃপক্ষ। এই সামান্য উপহার স্থানীয় কচি কাচাদের মুখে হাসি ফোটাতে সফল হয়েছে। এমন উদ্যোগ কে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার মানুষ।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.