|| ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
উপজেলায় ভোট করতে চাইলে পদত্যাগ করতে হবে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের
প্রকাশের তারিখঃ ৩০ এপ্রিল, ২০২৪
ঢাকা: সিলেট ও কুষ্টিয়ার দুটি ইউনিয়ন পরিষদের দুই চেয়ারম্যানকে পদত্যাগ না করেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত।
হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত চেয়ে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে করা আবেদনের শুনানি শেষে সোমবার (২৯ এপ্রিল) আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার জজ আদালত এই আদেশ দেন।
আদালতে ইসির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। অন্যদিকে, দুই চেয়ারম্যানের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক ও শাহদীন মালিক।
এর আগে, ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) থেকে পদত্যাগ না করায় উপজেলা নির্বাচনে দুই চেয়ারম্যানের মনোনয়নপত্র বাতিলে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত গত ২৩ এপ্রিল স্থগিত করেন হাইকোর্ট।
মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে পৃথক রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ড. শাহদীন মালিক ও এম মনজুর আলম।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম এম জি সারোয়ার।
পরে আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক বলেন, ‘কুষ্টিয়া ও সিলেটের দু’জন ইউপি চেয়ারম্যান পদত্যাগ না করেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পদত্যাগ না করায় স্ব স্ব রিটার্নিং কর্মকর্তা তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। পরে আপিলেট কর্তৃপক্ষও বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন।’
মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোগলাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম এবং কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার ওসমানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ওহিদুল ইসলাম হাইকোর্টে রিট করেন। তারা দুজনই উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন।
রিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত তাদের উপজেলা নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সেইসঙ্গে মনোনয়ন বাতিল করে আপিলেট কর্তৃপক্ষের দেওয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি আপিলেট কর্তৃপক্ষের দেওয়া সিদ্ধান্ত কেন বেআইনি ও আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
পরে এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে নির্বাচন কমিশন। আজ শুনানি শেষে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন চেম্বার জজ আদালত।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.