|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
যীশু সেন, বিশেষ প্রতিনিধি : প্রফেসর ড. সুকান্ত ভট্টাচার্য বলেন- বাগীশ্বরীর সঙ্গীতালয়ের শিক্ষার্থীরা শুদ্ধ সংগীত চর্চার মধ্য দিয়ে অসাম্প্রদায়িক আলোকিত মানুষে রূপান্তরিত হবে এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। তিনি বলেন সংগীত আমাদের মনুষ্যত্বের প্রভায় প্রদীপ্ত ও নান্দনিকবোধে ঋদ্ধ। সুকুমার বৃত্তি সম্পন্ন উদার মহৎ প্রাণ মানবিক মানুষের পরিণত করে। তিনি আরো যুক্ত করেন সংগীতের প্রতি সহজজাত অনুরাগের কারণে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কালজয়ী গান "আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি "কে জাতীয় সংগীত এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের অনবদ্য গান "চল চল চল "আমাদের রণ সংগীতে মর্যাদা দান করেছেন। এক কথায় সংগীত আমাদের স্বদেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে। যেমনটা করেছিল একাত্তরের আগুন ঝরা দিনগুলোতে। সংগীত আমাদের পূর্ণাঙ্গ মানুষের পরিণত করে। দুই দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে সমাপনী দিনে গত ২৪ এপ্রিল বধুবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামস্থ থিয়েটার ইনস্টিটিউট (টিআাইসি) মিলনায়তনে বাগীশ্বরী সংগীতালয়ের ১৯ বছর পূর্তিতে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও মনোজ্ঞ সংগীতানুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে একথা বলেন। বাগীশ্বরী সংগীতালয়ের সভাপতি লায়ন কৈলাশ বিহারী সেনের সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও সিনেট সদস্য প্রফেসর ড. সুকান্ত ভট্টাচার্য। প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ দক্ষিণের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো: আশরাফুল করিম। তিনি বলেন- সংগীত মানুষের মাঝে নান্দনিকতা ও স্বপ্নময় অনুভূতির সঞ্চার করে। আপনাদের ছেলে-মেয়েদের শিক্ষার পাশাপাশি সৃজনশীল সংস্কৃতি সামাজিক কর্মকান্ডে যুক্ত রাখুন। ভালো কাজের মধ্য দিয়ে একজন ভালো মনের মানুষ হয়ে সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বাচিক শিল্পী অদিতি সাহার সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাগীশ্বরী সংগীতালয়ের অধ্যক্ষ রিষু তালুকদার, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাগীশ্বরী বর্ষপূর্তি উদযাপন পরিষদের সমন্বয়ক সাংবাদিক যীশু সেন, বক্তব্য রাখেন আহ্বায়ক প্রকৌশলী রিমন সাহা, সদস্য সচিব প্রিয়তোষ নাথ, ব্যাংকার উৎপল চক্রবর্তী, শিক্ষক পলাশ দে প্রমূখ। প্রধান আলোচক প্রফেসর ড. সুকান্ত ভট্টাচার্য আরো বলেন- সংস্কৃতি ছাড়া পূর্ণাঙ্গ মানুষ হওয়া যায়না। সংস্কৃতিতে আছে তৃপ্তি। যিনি গান ধারণ করে হৃদয়ে, তিনি মানুষের জন্য কাজ করে। সংগীত যে ভালোবাসে, সে মানুষকে ভালোবাসে। সব মানুষের কণ্ঠে সুর আসে না, বিধাতা খুব কম মানুষকে সুরের যাদু দিয়ে তৈরি করেন। যেখানে সংগীত নেই, সেখানে বেঁচে থাকার আনন্দ নেই। সংগীত মানুষের ব্যক্তিত্ব গঠনেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।
বাগীশ্বরী সংগীতালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের রজনীকান্ত সেন, অতুল প্রসাদ সেন, পল্লী কবি জসিম উদ্দীন গ্রুপে টিআইসিতে প্রায় ৩০০ জন ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে ছিল সমবেত সংগীত, একক ও দ্বৈত সংগীত পরিবেশন করেন। দুই দিনব্যাপী সংগীত পরিচালনায় ছিলেন সংগীত শিল্পী রিষু তালুকদার। বাগীশ্বরীর বার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ মেধা তালিকায় ভিত্তিতে ক্রেস্ট ও সকল অতিথিমণ্ডলীদের সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়।
সংগীতে অংশ গ্রহণ করেন অগ্রজ শিল্পীরা হলেন- মৌমিতা বিশ্বাস, আঁখি বড়ুয়া, দেবারতি বিশ্বাস, পাপিয়া চক্রবর্তী, মম দাশ, প্রিয়ন্তী দাশ, শৈবাল রায়, স্নিগ্ধা দে ঋষিক রায়, স্নেহা মজুমদার, সৌমিক দাশ, অংকিতা সেন, দেবশ্রী চৌধুরী, অদ্রি সেন, কাঞ্চন দাশ, অর্পিতা দাস, অনিরুদ্ধ দাশ, সুইটি বর্ধন, হিমাদ্রী গুহ, প্রিয়তোষ নাথ, সানি ধর, বর্ষা দেবী, অমৃত চক্রবর্তী সজীব চৌধুরী, পৃথুলা বিশ্বাস, সৌরভ সাহা, মীম ভট্টাচার্য্য, ডা. সৌমিত্র দাশ, ঝুমুর খাস্তগীর, পুষ্পিতা চৌধুরী, অপ্সরা সাহা, সেগিত দাশ, নীলাদ্রি দাশ, সুহৃদ সাহা, রাত্রি ধর, বিজয় দেবনাথ, ঐশি মহাজন, নয়ন গুহ, তৃষ্ণা দাশ, চুমকী সেন, হৃদিতা দাশ, জয়ন্তী সেন, বৃষ্টি ঘোষ, সুদীপ্ত দাশ, রিমন সাহা, বৃষ্টি চক্রবর্তী, অর্ণব চৌধুরী, অপর্ণা চৌধুরী।
অনুজ শিল্পীরা হলেন- অপূর্বা তালুকদার, নিধি রুদ্র, ঐন্দ্রিলা চক্রবতী, শ্রেষ্ঠ দে, মিশন বিশ্বাস, বর্ণ সাহা, স্বস্তিকা মজুমদার, স্পর্শ সাহা, আয়ুষ ধর, আদিত্য দাশ(১), কোমল ধর, অদিতি দে, বিদিক্তা সরকার, ঋত্বিক পালিত, তৃষাত্মা তালুকদার, নিলয় দাশ, সায়ন্তী দাশ, আর্য্যনীল সাহা, পুষ্পিতা দাশ, প্রমা মজুমদার, মেবিনী সেনগুপ্তা, অদ্রিতা দাশগুপ্তা, আদিত্য দাশ, মণিষা দত্ত, পুনম দাশ, তার্থ শীল, সূর্য্য তালুকদার, হিমেল গুহ, অর্জুন তালুকদার, অভিনব সেন, সৌরি বড়ুয়া, অদ্রিজা চৌধুরী, সৌর্যদীপ্ত পালিত, অমৃতা চক্রবর্তী, রিজন দাস, শ্রেয়া দাশ, পৃথুরাজ দাশ, স্বর্ণময় রুদ্র, অনুভূতি সিংহ, নীলাদ্রি চক্রবর্তী, অস্মিতা বড়ুয়া, আরাধ্য চক্রবর্তী, আর্থ তালুকদার, অরিত্র দে, আরাধ্যা দে, পারমিতা চৌধুরী, নির্ঝর শর্মা, নাদিয়া সুলতানা, ঋতম ঘোষ, পূর্ণা বণিক, সোহান হোসেন, অদ্রিতা ব্যানাজী দেবদীপ্ত দাশ, প্রিয়ন্তী দাশ, অপূর্ব শীল, নিকিতা বিশ্বাংশ্রী রাজদীপ দাশ, অহর্নিশ সাহা, অনিন্দিতা চৌধুরী, অন্বেষা দাশ, তীর্থ বণিক, অহেনজিতা দে, উমা সেন, রিয়া দাশ, অর্ণব দে, রিজু মজুমদার, সুমিত্র দাশ প্রমূখ। যন্ত্র সঙ্গীতে সহযোগিতায় ছিলেন কীবোর্ডে -সৃজন রায়, অক্টোপ্যাডে-এস এম রুবায়েত, গীটারে-মো.শাহনেওয়াজ, তবলায়-পলাশ দে, অমর্ত্য চক্রবর্তী, রূপক ভট্টাচার্য ও ছোটন দে।