|| ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ৩রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
গণনা শেষে, পাগলা মসজিদের দানবাক্সে পাওয়া গেলো রেকর্ড পরিমাণ টাকা
প্রকাশের তারিখঃ ২১ এপ্রিল, ২০২৪
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে পূর্বের সকল রেকর্ড ভেঙ্গে এবার জমা পড়েছে ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা। যা এ যাবত কালের সব রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টায় চার মাস ১০দিন পর, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ ও ৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে দানবাক্স গুলো খোলা হয়।
এসময় ৯টি লোহার দানবাক্স থেকে ২৭ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। এরপর মসজিদের দ্বিতীয় তলার মেঝেতে ঢেলে চলে গণনা কার্যক্রম। গণনায় ৯৮ জন মাদরাসার ছাত্র ৯ জন শিক্ষক ৭০ জন ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ১০ জন আনসার সদস্য অংশগ্রহন করেন। দিনভর গণনা শেষে রোববার (২১ এপ্রিল) রাত ২ টায় দানের পরিমাণ জানা যায়। এ তথ্য নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মহুয়া মমতাজ।
দানবাক্স থেকে টাকা ছাড়াও স্বর্ণ, রুপা সহজ বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া যায়। প্রতি তিনমাস পর পর পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা হলেও এবার রমজান মাসের কারণে চার মাস ১০দিন পর খোলা হয়েছে।
কথিত আছে, খাস নিয়তে এ মসজিদে দান করলে মানুষের মনের আশা পূরণ হয়। সে কারণে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষজন এখানে দান করে থাকেন। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে প্রাতরণার বিষয়ে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছেন মসজিদটির খতিব মাওলানা আশারফ উদ্দিন।
তিনি বলেন, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাগলা মসজিদের নাম ব্যবহার করে একটি প্রতারক চক্র বিভিন্নভাবে দানের টাকা পৌঁছে দেওয়া, মসজিদের উন্নয়নের জন্য দান করার নাম করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এ দিকে সাধারণ মানুষের শতর্ক থাকতে হবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, পাগলা মসজিদে দানের টাকার পাশাপাশি গবাদিপশু, হাঁস, মুরগি, গরু, ছাগল দান করা হয়। এবং প্রতিদিন আসরের নামাজের পর দানকৃত এসব পশু নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়ে থাকে। এখানে অনলাইনের মাধ্যমে দান করার কোন ব্যবস্থা নাই। যা দান হয় সরাসরি দান করতে হয়। পাগলা মসজিদের প্রতি মানুষের এমন আবেগ আছে বলে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, ইসলামিক কমপ্লেক্স স্থাপনের লক্ষ্যে পরামর্শক প্রক্রিয়া এ মাসেই শেষ হবে। এরপর মসজিদের উন্নয়ন কাজে হাত দেওয়া হবে। যেখানে একসাথে ত্রিশ হাজার মানুষ নামাজ আদায় করতে পারবে। এই মসজিদের অর্থ বাহিরে অপচয় করার কোন সুযোগ নেই। সকল অর্থ ব্যাংকে জমা থাকে অর্থের লভ্যাংশ এখানকার সাধারণ মানুষের উপকারে ব্যয় করা হয়। মসজিদ নির্মাণের জন্য সকলকে দান করার আহ্বান জানান তিনি।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.