|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে ধর্ষিত কিশোরীকে ৯দিনে ও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ
প্রকাশের তারিখঃ ২০ এপ্রিল, ২০২৪
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর নিখোজের ৯দিন অতিবাহিত হলে ও এখনো ধর্ষিতা কিশোরীকে পুলিশ উদ্ধার করতে পারেনি।
এ নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। পুলিশ বলছে উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রাখা হয়েছে।
সুনামগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ)রাজন কুমার দাশ ও ছাতক -দোয়ারাবাজার সাকেল সহকারি সিনিয়র পুলিশ সুপার রনজয় চন্দ্র মল্লিক ও দোয়ারাবাজার থানার ওসি বদরুল আলম গত ১৭ এপ্রিল বাংলাবাজার ইউপির বাঁশতলা শহীদ মিনার কলোনীতে যান। তারা ঘটনাস্থলে পৌছানোর আগে ধষিতা কিশোরীকে অন্যস্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
গত ১৮ এপ্রিল সকালে দোয়ারাবাজার থানায় ধর্ষিতা কিশোরীকে নিয়ে তার চাচা উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেন পুলিশ। কিন্তু কার নিদের্শ কে মানে? গত ১৯ এপ্রিল বিকাল ৪টা পর্যন্ত ধর্ষিতা কিশোরীকে নিয়ে তার চাচা থানায় উপস্থিত হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন থানার ওসি বদরুল আলম।
গত ১১ এপ্রিল রাতে উপজেলার বাংলাবাজার ইউপির মৌলার পাড় আপনের টিলায় নিয়ে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়।
জানা যায়, ১০ এপ্রিল সন্ধ্যায় ওই কিশোরী বাড়ি থেকে রাগ করে বের হয়ে বাঘমাড়া বাজারে চলে যায়। পরে কিশোরীকে সাবেক ইউপি সদস্য কালামের বাড়িতে নিয়ে যান। মেম্বার কিশোরীর ঠিকানা জিজ্ঞেস করলে পরে কিশোরীকে আব্দুল কুদ্দুছের মাধ্যমে তার বাড়িতে পৌঁছিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব দেন ইউপি সদস্য। আব্দুল কুদ্দুছ এ কিশোরীকে বাড়ি না দিয়ে এলাকার কুখ্যাত চোরাকারবারি বখাটে জনৈক জুটনের কাছে তুলে দেন। পরে তাকে আপনের টিলার ওপরে নিয়ে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করেন জুটনসহ তার দুই সহযোগী। সেখান থেকে রাত ৩টার দিকে মেয়েটা পালিয়ে পুনরায় সাবেক কালাম মেম্বারের বাড়িতে এসে অবস্থান নেন।
এরপর কালাম মেম্বারকে তার সঙ্গে সব কিছু খুলে বলেন কিশোরী। পরে থানার ওসির সঙ্গে আসামিদের বড় অংকের টাকার বিনিময় রফা দফার মাধ্যমেই অলিখিত চুক্তি হয়। পুলিশ ঘটনাটি চাপা দিয়ে নির্যাতিত কিশোরীকে ভয় দেখিয়ে থানায় থেকে তার চাচার জিম্মায় দেওয়া হয়।
এরপর থেকে ওই কিশোরীকে আড়াল করে রাখা হচ্ছে। এব্যাপারে ছাতক দোয়ারাবাজার সাকেল সহকারী পুলিশ সুপার রণজয় চন্দ্র মল্লিক জানান, এ ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিকটিমকে তার বাড়িতে খোজে পাওয়া যায়নি। তবে তার চাচা বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ভিকটিমকে নিয়ে থানায় উপস্থিত থাকার কথা ছিলো। এখনো থানায় নিয়ে হাজির হয়নি। ভিকটিমকে পুলিশ উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রেখে পুলিশ।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.