|| ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
জমিজমা বিরোধ: সাভারে বাড়ি ঢুকে ভাংচুর, নারীকে মারধর
প্রকাশের তারিখঃ ২০ মার্চ, ২০২৪
ঢাকার সাভারে বিচারাধীন জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে একটি বাড়িতে ঢুকে ভাংচুর ও দুই নারীকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগীর অভিযোগ, যুবলীগের স্থানীয় এক নেতার পরিচয়ে সৈকত নামে এক ব্যক্তিও বিভিন্ন সময় তাকে জমি ছাড়তে চাপ দেন।
এ ঘটনায় দুইজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ভুক্তভোগীদের পক্ষে সাভার মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন লাভলী আক্তার নামে এক নারী।
এর আগে, গত ১১ মার্চ সাভার পৌরসভার ইমান্দিপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্তরা হলেন- সাভার পৌরসভার ইমান্দিপুর এলাকার মো. রাসেল মিয়া (৩৫)। ভুক্তভোগীরা হলেন- লাভলী আক্তার ও তার স্বামীর বোন ইয়াছমিন (৩৫)।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ক্রয়সূত্রে একটি জমি কিনে সেখানে বসবাস করছেন ভুক্তভোগী নারী ও তার পরিবার। তবে অভিযুক্তরা সেই জমি দখলের চেষ্টা করছে। এরই জেরে গত ১১ মার্চ সকাল ১০টার দিকে তার বাড়িতে ঢুকে টিনসেট ঘর ভাংচুর করে ও বাড়িতে থাকা দুই নারীকে কিল-ঘুসি লাথি মেরে নিলাফুলা জখম করে। এছাড়া তাদের প্রাননাশের হুমকিও দেয়।
ভুক্তভোগী নারীর দাবি, সাভারের বড় বলি মেহের মৌজার সিএস ১০৫, এসএ ৭২, আরএস ৭৭ খতিয়ানের সিএস-এসএ ১৬২ ও আরএস ১৭০ দাগে ২.৫০ শতাংশ জমি ২০০১ সালের ২০ জানুয়ারিতে ১৮৪২৪ নম্বর দলিল মূলে কেনেন সেকান্দার আলী। বিআরএস জরিপে ১০৭৭ খতিয়ানে ৬০৭৬ দাগে তার নামে ওই জমি রেকর্ড হয়।
২০১০ সালে ৬২১০ নম্বর দলিলে ওই জমি স্ত্রী রোকেয়া বেগমের কাছে হস্তান্তর করেন সেকান্দার আলী। ২০১৮ সালে ৫৯৪ নম্বর দলিলে রোকেয়া বেগম তাদের চার মেয়ে মাহমুদা আক্তার, শামীমা খানম শিমু, শামীমা খানম শিরিন, সোনিয়া আক্তারকে হস্তান্তর করেন। তারা বিআরএস খারিজ খাজনা হালনাগাদ করেন। ২০২৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ২০৮৩৩ নম্বর দলিলে জমিটি কেনেন লাভলী আক্তার। তিনিও খারিজ খাজনা হালনাগাদ করেন।
লাভলী আক্তার বলেন, ‘আমার স্বামী প্রবাসী। কষ্ট করে জমানো টাকায় জমি কিনেছি। ওই জমিটিই অবৈধভাবে দখলের চেষ্টা করছে অভিযুক্তরা। এরমধ্যে রাসেল চার জমিদাতার সৎ ভাই। তাদের জমিতে মালিকানা না থাকলেও তারা জমির দাবি করছেন। আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি। বিচার চলছে। এরপরও আমাদের হয়রানি করছে তারা। পাভেলের বোন জামাই সৈকতের নেতৃত্বে রাসেল আমার বাড়িতে ভাংচুর করে। এ বিষয়ে প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা চাই।’
অভিযুক্ত রাসেল বলেন, ‘ওখানে মোট ২.৫০ শতাংশ জমি। আমার বাবা আমাকে পুরো জমি ওছিয়তনামা করে দিয়েছেন। আবার আমার বোনেরা বলছে, পুরা জমি তাদের লিখে দিয়েছে। তবে আমার কথা হলো, পৈতৃক ওয়ারিশ সূত্রে যে যতটুকু জমি পাবে, সে ততটুকুই নেবে। সেই হিসেবে আমি ১.৭০ শতাংশ জমি নিজের নামে নামজারি করেছি। তাদের জন্য বাকি দশমিক ৮০ রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমি আদালতে মামলাও করেছি।’ তবে ভাংচুর ও মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।
সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘সেখানে ১৪৫ ধারা জারি আছে। জমিজমা নিয়ে সমস্যা। দখল সংক্রান্ত কারণে ওই নারী অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।’
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.