|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
রাজারহাটে ইমামকে কেন্দ্র করে মসজিদের ভিতরে হামলা
প্রকাশের তারিখঃ ১০ মার্চ, ২০২৪
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের ডাংরারহাট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ঈমামকে কেন্দ্র করে অতর্কিত হামলার শিকার হয়েছেন দুই সহদর। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছে তাদের স্বজনরা। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়। গত শনিবার ৯মার্চ রাত ৭ঃ০০ঘটিকায় মাগরিবের নামাজ আদায় করে মসজিদের ভিতর অবস্থান করছিলেন উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নে পাড়ামৌলা গ্রামের মাংস ব্যবসায়ী শরিফুল ইসলাম ও তার বড় ভাই শহিদ মিয়া। একই গ্রামের আবুল হাশেমের পুত্র খোকন (২৮) ও তার চাচা মাহবুব (৪০) পূর্ব ঘটনার জের ধরে মসজিদে প্রবেশ করে দুই সহদরের সাথে ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়েন। এরই এক পর্যায়ে খোকন ও তার চাচা মাহবুব অতর্কিতভাবে মসজিদের ভিতরেই শরিফুল ইসলাম ও শহিদ মিয়ার উপর হামলা করেন। আশপাশের মুসল্লিরা এগিয়ে এসেও তাদের হামলা থেকে রক্ষা করতে পারেননি। তাদের হামলায় গুরুতর আহত দুই ভাইকে রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে একজন কে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আরেক ভাই শহিদ মিয়ার অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। এঘটনায় এলাকাবাসী চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন। মসজিদের ভিতরে এহেন ন্যাক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, হামলাকারী খোকন একজন উগ্রবাদী ও বদমেজাজী টাইপের ছেলে। এলাকার কাউকেই সম্মান দিতে জানেনা। কয়েকমাস পূর্বে তার বাবা ডাংরারহাট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ওয়াক্তিয়া ইমাম ছিলেন,কিন্তু একজন ইমাম হিসাবে সবার নিকট গ্রহণযোগ্যতা না থাকায় তাকে মসজিদের ইমাম থেকে বাদ দেওয়া হয়। আর তাকে বাদ দেওয়ার পিছনে বেশী ভূমিকা পালন করেন শহিদ মিয়া ও শরিফুল ইসলাম। তখন থেকে বাবার অপমানের প্রতিশোধ নিতে মরিয়া হয়ে থাকেন খোকন। তিনি আরও জানান এই ছেলের বিরুদ্ধে এখনই কঠোর আইনী ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে আরও বড় ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে বলে সংশয় প্রকাশ করেন। পরে শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে রায়হানুল ইসলাম খোকন ও মাহাবুব রহমান কে প্রধান আসামি করে শনিবার রাতে রাজারহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
এই বিষয়ে অভিযোগের আসামি মাহবুব রহমান বলেন, শরিফুল ইসলাম ও শহিদ মিয়া, আমার ভাতিজাকে মারধোর করছিলো আমি আগাইতে গেলে আমিও হামলা শিকার হই। এখন দেখি আমার নামেই অভিযোগ করেছে।
রাজারহাট থানার ওসি তদন্ত মোঃ ওয়াহেদ আলী বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে বিষয়টি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.