|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
পোশাক কারখানার ছাদে ছাদ বাগান
প্রকাশের তারিখঃ ৬ মার্চ, ২০২৪
ইট কাঠের নাগরিক সভ্যতার শহরগুলো থেকে দ্রুতই হারিয়ে যাচ্ছে সবুজ। কিন্তু মানুষ তার শিকড়কে সহজে ভুলতে পারে না। সবুজে ভরা গ্রাম বাংলায় বেড়ে উঠা নাগরিক সমাজের একটা অংশ সবুজকে ধরে রাখতে চায় আবাসস্থলে।
শৌখিন মানুষরা তাদের ভবনের ছাদে সবুজকে ধরে রাখার জন্য একান্ত নিজস্ব ভাবনা আর প্রচেষ্টায় ছাদে তৈরি করছে ছাদ বাগান। তেমনি সাভারে একটি তৈরি পোশাক কারখানা আজিম গ্রুপ।
এই তৈরি পোশাক কারখানার বড় ছাদে করা হয়েছে ছাদ বাগান। নানা রকম দেশি বিদেশি ফল ও ফুলের গাছ দিয়ে সাজানো পুরো ছাদ বাগান। সৌন্দর্য বর্ধনের এই ছাদ বাগান পোশাক কারখানার শ্রমিক ও বিদেশি বায়ার ও গার্মেন্টস কর্মকর্তাদের আকৃষ্টত করে সবসময়। ছাদ বাগানে গড়ে তোলা বিভিন্ন ফলের গাছ থেকে পাখিরা আরাম আয়েশে পাকা ফল খাচ্ছেন প্রতিনিয়ত।
নিরাপদ সবজি দিয়ে পুষ্টি চাহিদাপূরণ, বিনোদন এবং অবসর সময় কাটানোর এক মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে এ ছাদ বাগান। পরিবেশ রক্ষা আর নগরের তাপমাত্রা কমিয়ে আনতে এই ছাদ বাগান করা হয়েছে।
উল্লেখযোগ্য এই ছাদ বাগানে ফুল ও ফলের গাছ হচ্ছে গোলাপ, গাদা, পিটুনিয়া, আম, জাম, পেয়ারা, আপেল, কমলা, আঙুর, মালটা, বড়ই গাছ সহ অসংখ্য গাছ।
আজিম গ্রুপের অ্যাডমিন এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স মোহাম্মদ শোয়েব আহম্মদ বলেন, এই ছাদ বাগানের গাছের ফল তারা কখনো পাড়েন না। গাছে যে ফলেই আসুক না কেন সব পাখিরা খায়। এই তৈরি পোশাক কারখানার ছাদ বাগান দেখে অনেক তৈরি পোশাক কারখানার মালিকরা কারখানার ছাদে ছাদ বাগান করার উদ্যোগ নিয়েছেন বলেও বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ছাদ বাগানে গাছে পানি দেওয়া সহ পরিচর্যায় শ্রমিকদের পাশাপাশি কর্মকর্তারাও দেখভাল করেন প্রতিনিয়ত। পুরো সবুজে যেন পরিণত হয়েছে কারখানাটি। কয়েক হাজার শ্রমিক প্রতিনিয়ত কাজে ফাঁকে ছাদ বাগানে যান রি-ফ্রেশ হতে।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.