|| ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
ঋণের চাপে আত্মহত্যার চেষ্টা!
প্রকাশের তারিখঃ ৪ মার্চ, ২০২৪
সোনারগাঁয়ে ঋণের চাপে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে এক যুবক! ঘটনা সূত্রে জানা যায়, ওই যুবক ব্যবসার উদ্দেশ্য বিভিন্ন এনজিও থেকে ও আশেপাশের আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশিদের কাছ থেকে সুদের উপরে অনেক টাকা ধার নিয়েছিল! ৫ টা এনজিও অফিস থেকে টোটাল ঋণ নিয়েছে ৩০ লাখ টাকার মত, আর আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের কাছ থেকে সুদের উপরে টাকা নিয়েছে ৪০ লাখ টাকার মত! ওই যুবক ডিস্টিবিউটরের ব্যবসার পাশাপাশি কনজুমার পণ্যের উৎপাদন শুরু করেছিল! পরে ভ্রাম্যমান আদালত ফ্যাক্টরিতে এসে জরিমানাসহ মালামাল নষ্ট করে দেয়! এতে করে ওই যুবকের ৭০ লাখ টাকার মত লস হয়!
তখন ওই যুবকের সমস্ত ব্যবসা হটাৎ করে বন্ধ হয়ে যায়! প্রতি মাসে অনেক টাকা কিস্তি ও সুদের টাকার চাপ আসতে থাকে! ওই যুবকের প্রতি মাসে ১,৭০,০০০ হাজার টাকার কিস্তি দিতে হয়! সুদের টাকা প্রতি মাসে ৪০,০০০ হাজার টাকা দিতে হয়! ফ্যাক্টরি চলাকালীন ওই যুবকের ফ্যাক্টরি, অফিস, কর্মচারীর বিলসহ প্রতি মাসে খরচ হত ১০ লাখ টাকার মত! আরো জানা গেছে, ওই যুবক ঋণের চাপে সোনারগাঁয়ে ভাড়া বাসায় থাকতো! ফ্যামিলি আত্মীয় স্বজনদের সাথে যোগাযোগ না থাকায়, ওই যুবক ও তার স্ত্রী ও ২ বছরের একটা মেয়ে নিয়ে ভাড়া থাকতো! একদিন তার স্ত্রী ও মেয়েকে জোর করে তার নিজের বাড়িতে পাঠায়! তারপর ভাড়া বাসায় একা খালি পেয়ে পর পর ঘুমের ঔষধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে! কিন্তু ওই যুবকের স্ত্রীর কিছু একটা সন্দেহ হওয়ায় সে তার ভাড়া বাসায় পরের দিন চলে আসে! এসে দেখে ওই যুবকের অবস্থা খারাপ! তবে অবস্থা আশংকাজনক না হওয়ায় ওই যুবক বেচে ফিরে আসে! তবে নিজেদের গোপনীয়তা ও মানসম্মানের ভয়ে ঘটনা চাপা রাখা হয়েছে! আত্মহত্যা চেষ্টা কৃত যুবকের নাম আফজাল হোসেন(২৯),পিতা অবাইদুল হক, সাং বানিয়া বাড়ি! ওই যুবক ঋণের চাপে ফ্যামিলি, আত্মীয় স্বজন, বন্ধু বান্দবদের সাথে চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে! অনেকটা মানুসিক রোগীরমত! তবে এত টেনশনের মধ্যে ওই যুবকের স্মৃতিশক্তি কমে গিয়েছে বলে জানা যায়! ওই যুবক স্বাভাবিকভাবে চলাচল করলেও ঋণের চাপে প্রতিনিয়ত সমস্যায় সম্মুখীন হতে হচ্ছে! যুবকের সাথে কথা বলে জানতে পারি, আবার যদি ওই যুবক কে ২ বছরের সময় দেওয়া হয়, তাহলে ওই যুবক সমস্ত ঋণ পরিশোধ করে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে! নয়তো বা অগটন ছাড়া উপায় নেই ওই যুবকের! এই ঋণের কথা যুবকের মা বাবা কে জানালে, তাঁদের কাছ থেকে জানতে পারি ব্যবসার উদ্দেশ্য অনেক টাকা ফ্যামিলি থেকে নিয়েছে, অনেক টাকা নস্ট করেছে, এখন আর তারা তাকে আর টাকা দিয়ে হেল্প করতে পারবেনা!
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.