|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
সমিতিকে চলচ্চিত্রের সবচেয়ে মর্যাদার আসনে নিয়ে যাওয়া আমার লক্ষ্য- ডিপজল
প্রকাশের তারিখঃ ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
আগামী এপ্রিলের মাঝামাঝি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে এখন পর্যন্ত একটি প্যানেল চূড়ান্ত হয়েছে। এটি হচ্ছে, মিশা সওদাগর ও চলচ্চিত্রের মুভিলর্ডখ্যাত মনোয়ার হোসেন ডিপজলের নেতৃত্বে প্যানেল। প্যানেলটি ইতোমধ্যে চলচ্চিত্রাঙ্গণে বেশ সাড়া জাগিয়েছে। এ প্যানেল নিয়ে সমিতির সদস্যদের মধ্যে বেশ উৎসাহ ও উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হচ্ছে। অনেক সদস্য মনে করছেন, শিল্পী সমিতিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংগঠনে পরিণত করতে মিশা-ডিপজলের নেতৃত্ব এ মুহূর্তে বেশি প্রয়োজন। সমিতির মধ্যকার দ্বিধা-দ্বন্দ্ব দূর করে সমিতির সদস্যদের মধ্যে ঐক্য সৃষ্টি করতে সক্ষম হবে। শুধু তাই নয়, সদস্যদের কল্যাণে তারা সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করতে পারবে। অনেক সদস্যর সাথে আলাপকালে তারা বলেছেন, ডিপজল সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হওয়ায় আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। আমরা উনাকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দেখতে চাই। কারণ, তিনিই পারবেন সমিতিকে একটি মর্যাদার আসনে নিয়ে যেতে। তাছাড়া, তিনি নেতৃত্বে থাকুন বা না থাকুন, সারা বছরই তিনি সদস্যদের পাশে দাঁড়ান। সদস্যদের যেকোনো সমস্যায় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। এমন কোনো সাধারণ সদস্য নেই, যারা তার সহযোগিতা পাননি কিংবা পাচ্ছেন না। তিনি কাউকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেন না। তিনি সমিতির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলে, সমিতিরই লাভ হবে। সমিতির মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। সদস্যরা উপকৃত হবে। এদিকে, ডিপজলের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমার লক্ষ্য হচ্ছে, সমিতিকে চলচ্চিত্রের সবচেয়ে মর্যাদার আসনে নিয়ে যাওয়া। এর মাধ্যমে সদস্যদের স্বার্থ রক্ষা ও কল্যাণ করা। শিল্পীরা যাতে মর্যাদা নিয়ে ভাল থাকে, এ ব্যবস্থা করা। এখন সিনেমার সংখ্যা কমে যাওয়ায় অনেক শিল্পী বেকার হয়ে গেছে। তাদের হাতে কাজ নেই। আমি চেষ্টা করব, চলচ্চিত্রের অন্যান্য সংগঠনের সাথে সমন্বয় করে কিভাবে সিনেমার সংখ্যা বাড়ানো যায়, এ উদ্যোগ নিতে। যারা একসময় নিয়মিত সিনেমা বানাতেন অথচ এখন বানাচ্ছেন না, তাদের প্রযোজনায় ফিরিয়ে আনব। অনেক প্রযোজক সমিতিরও সদস্য। তাদের সিনেমা বানাতে উৎসাহিত করব। এতে যদি বছরে দশটি সিনেমাও হয়, তাতে শিল্পীদের অনেকে কাজ পাবে। আমি নিজেও একের পর এক সিনেমা বানাচ্ছি। এটা চলমান থাকবে। ডিপজল বলেন, গত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সমিতির কিছু বদনাম হয়েছে। সে সময় আমি বারবার বলেছি, নিজেদের মধ্যকার সমস্যা প্রকাশ্যে না এনে মিলেমিশে সমিতির সুনাম ধরে রাখতে। সেই কমিটি থেকে কোনো কোনো সিনিয়র নেতৃবৃন্দ বিরক্ত হয়ে পদত্যাগও করেছিলেন। এতে সমিতির সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়েছে। এটা ভাল দেখায়নি। এবার আমি সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হলে সকল সিনিয়রদের সাথে নিয়ে সমিতির সুনাম, শৃঙ্খলা ও মর্যাদা ফিরিয়ে আনব। শিল্পীরা যাতে অসহায় বোধ না করে, সম্মানের সাথে চলাফেরা করতে পারে এ ব্যবস্থা নেব। আমি চাই, কোনো ধরনের কোন্দল ছাড়া নির্বাচনটি আনন্দমুখর করে তুলতে। সবাই এফডিসিতে আসবে, সবার সাথে সুসম্পর্ক থাকবে, এক পরিবারের মতো চলাফেরা করবে, এমন একটি নির্বাচন করতে চাই। গত বছর নির্বাচনে চলচ্চিত্রের অন্যান্য সংগঠনের সদস্যদের প্রবেশে বিধিনিষেধ ছিল, যা খুবই নিন্দনীয় ছিল। এবার আমরা সকল সংগঠনের জন্য উন্মুক্ত করে দেব, যাতে তারা নির্বাচনটি উপভোগ করতে পারে। নির্বাচনে আমি চলচ্চিত্রের সব সংগঠনের সহযোগিতা কামনা করি।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.