|| ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ৩রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
শবেবরাতে জাতীয় বায়তুল মোকাররম মসজিদে দফায় দফায় নামাজ আদায় করছে মুসুল্লিরা
প্রকাশের তারিখঃ ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
শবেবরাতে জাতীয় বায়তুল মোকাররম মসজিদে দফায় দফায় নামাজ আদায় করছে মুসুল্লিরা যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে সারা দেশে পবিত্র শবে বরাত। মহিমান্বিত এই রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পরম করুণাময় মহান আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের আশায় নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত ও জিকিরে মগ্ন থাকেন। তাতে দেশের জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে উপস্থিত হয়েছেন হাজারো মুসল্লি। কারো হাতে জায়নামাজ, কারো হাতে তসবিহ। প্রত্যেকেই জাতীয় মসজিদে ইবাদত বন্দেগি করার জন্য এসেছেন।রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বাদ এশা রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদ ও আশেপাশের এলাকায় এ চিত্র দেখা গেছে।
শুধু বায়তুল মোকাররমই নয়, এশার নামাজকে কেন্দ্র করে রাজধানীর সব মসজিদেই দেখা গেছে উপচেপড়া ভিড়। নানা বয়সী ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা আসছেন জামাতে নামাজ আদায় করতে। আগত মুসল্লিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অতীতের পাপ ও অন্যায়ের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা এবং ভবিষ্যৎ জীবনের কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করতেই তারা বায়তুল মোকাররম মসজিদে এসেছেন।
নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহতাআলা অর্ধশাবানের রাতে (শবে বরাত) মাখলুকাতের দিকে রহমতের দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ছাড়া আর সবাইকে ক্ষমা করে দেন।’ যে রাতে বান্দাকে তার প্রতিপালক গোনাহ থেকে মুক্তি দিয়ে ক্ষমা করে দেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে মিলাদ ও বিশেষ মোনাজাত হয়। জাতীয় মসজিদে সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে ‘পবিত্র শবে বরাতের ফজিলত ও তাৎপর্য’ শীর্ষক ওয়াজ করেন জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমীন। এশার নামাজের পর মোনাজাতে মুসলমানরা নিজের গুনাহের মাফ চেয়ে প্রার্থনা করেন। অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনের মাগফেরাত কামনায়। অতীতের গুনাহের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা ছাড়াও করোনা মহামারি থেকে মুক্তি জন্য মোনাজাত করা হয়,পবিত্র শবে বরাত মুসলমানদের কাছে পবিত্র রমজানের আগমনী বার্তাও নিয়ে আসে। শাবান মাসের পরে আসে পবিত্র রমজান মাস। তাই শবে বরাত থেকেই কার্যত রমজানের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়।
এদিকে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে আতর, টুপি, মেসওয়াক, তসবিহ, মাস্ক, আগরবাতি, মোমবাতি, জায়নামাজ, পাঞ্জাবি, পাজামা, নামাজ শিক্ষা ও দোয়া-দরুদের বই, মুখরোচক নানা খাবার, শরবত, চায়ের স্টলসহ বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। বেশ কিছু দোকানে বর্ণিল বাতি দিয়ে সাজানো দেখা গেছে। কিছু মসজিদে বাড়তি মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের সুবিধার্থে মসজিদের ছাদ, বারান্দা ও সড়কের একপাশে জায়গা করে দেওয়া হয়েছে।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.