|| ১৪ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৩১শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ || ১৬ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি
পাঁচবিবিতে পানি নিস্কাশনের নালা ভরাট করায় ফসলি মাঠে জলাবদ্ধতার শঙ্কা
প্রকাশের তারিখঃ ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজলোর কুসুম্বা ইউনিয়নের হরেন্দা বাজার সংলগ্ন রাস্তার পাশে পানি নিস্কাশনের একমাত্র নালাটি মাটি ভরাট করে বন্ধ করার অভিযোগ উঠছে হরেন্দা গ্রামের প্রভাবশালী নুর আলমের বিরুদ্ধে। নালাটি বন্ধ করার কারণে বিদ্দিগ্রাম,গাংগুরিয়া ও হরেন্দার আংশিক মৌজার মাঠের কয়েক শত একর কৃষি জমিতে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে বলে শঙ্কা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। এতে ঐ মাঠের চাষাবাদ ঝুঁকির মুখে পড়বে বলে আশংকা প্রকাশ করছেন তারা। নুর আলম হরেন্দা গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে ।
সরেজমিনে গিয়ে ও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিদ্দিগ্রাম, গাংগুরিয়া ও হরেন্দার আংশকি এলাকার ফসলি মাঠের পানি যুগ যুগ ধরে পাঁচবিবি-কামদিয়া সড়কের উত্তর কোল ঘেঁষা নালা দিয়ে শালাইপুরের পাশ হয়ে হারাবতী নদীতে নিস্কাশন হতো। কিন্ত হরেন্দা গ্রামের প্রভাবশালী নুর আলম হরেন্দা বাজার মসজিদ সংলগ্ন পশ্চিম পাশে (বিদ্দিগ্রাম রাস্তার মুখে) পানি নিস্কাশনের একমাত্র নালার উপরে অবস্থিত কালর্ভাটের মুখ বন্ধ করে মাটি ভরাট করেছেন। ফলে ঐ সকল মৌজার মাঠে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী পূর্ব বিদ্দিগ্রাম গ্রামের কৃষক গোলজার রহমানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, মাটি দিয়ে নালার মুখ বন্ধ করার কারনে মাঠের পানি বের হতে পারবে না। একারণে পশ্চিমাঞ্চলের মাঠের ফসল ডুবে যাবে ।
বিদ্দিগ্রামের মাহবুবুর রহমান, নজরুল ইসলাম,আবু তালেব আব্দুল হাকিম সহ বিভিন্ন শ্রেনির একাধিক ব্যক্তি বলেন, হরেন্দা বাজারের পানি নিস্কাশনরে কালর্ভাট সংলগ্ন নালার মুখ বন্ধ করার কারণে বর্ষা মৌসুমে শুধু আমন ধান নয় জলাবদ্ধতার কারণে বাড়ীতে পর্যন্ত পানি উঠবে, পুকুরের মাছ ভেসে যাবে । যারা মাটি দিয়ে বন্ধ করছেন তারা এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি। আমরা গ্রামের সাধারণ মানুষ। সে কারণে আমাদের কথা কেউ শোনে না ।
হরেন্দান গ্রামের কৃষক আব্দুর রহিম বলেন, “সাধারণ কৃষকের কথা শোনার মত কেউ নেই বাপ। ওদের ক্ষমতা বেশি তাই পানি যাওয়ার নালা বন্ধ করেছে। কাকে কি কবো। আল্লাহ কপালে যা লিখে রাখছে তাই হবে।
এ ব্যাপারে নুর আলম মুঠোফোনে জানান, “আমি সরকারী বা অন্য কারো জায়গা ভরাট করিনি। আমি আমার নিজের জায়গা ভরাট করেছি এতে কারো কথায় কিছু যায় আসে না।”
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জিহাদ মন্ডল বলেন, আমার কুসুম্বা ইউনিয়নে আমন, বোরো ও রবিশষ্যের ব্যাপক উৎপাদন হওয়ায় এই এলাকায় পানি নিষ্কাশনর সুব্যবস্থা থাকতে হবে। হরন্দার নালা বন্ধের কারনে সংশ্লিষ্ট মাঠে জলাবদ্ধতা হবে। আমি হরন্দার নালাটি সহ এলাকার সকল বন্ধ নালা গুলো খুলে দেওয়ার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
সহকারী কমশিনার (ভূমি) মারুফ আফজাল রাজন বলেন, প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে সার্ভেয়ার ও ইউএনও সহ সরেজমিনে পরিদর্শন করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Copyright © 2025 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.