|| ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
শিব সংঘ গীতা শিক্ষালয়ের শ্রীশ্রী সরস্বতী পূজা উদযাপন
প্রকাশের তারিখঃ ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাউজান উপজেলা পূর্ব গুজরা কান্তচৌকিদার বাড়ীর শিব সংঘ গীতা শিক্ষালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের উদ্যােগে বিদ্যাদেবী সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে সকালে ছাত্র-ছাত্রী মাঝে মা সরস্বতী বিদ্যাদেবীর পুষ্পঅঞ্জলী প্রদান, দুপুর ১ টায় মহাপ্রসাদ আস্বাদন, বিকাল ৩ টায় শ্রীমদ্ভগবত গীতাপাঠ প্রতিযোগিতা, সন্ধ্যা ৬ টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নৃত্যানুষ্ঠান।সরস্বতী দেবীকে শিক্ষা, সংগীত ও শিল্পকলার দেবী ও আশীর্বাদাত্রী বলা হয়। বাংলা মাঘ মাসের পঞ্চমী তিথিতে এই পূজা অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষা, সংগীত ও শিল্পকলায় সফলতার আশায় শিক্ষার্থীরা দেবীর বন্দনা ও পূজা করে থাকে। বাগদেবী, বিরাজ, সারদা, ব্রাহ্মী, শতরূপা, মহাশ্বেতা, পৃথুধর, বকেশ্বরী সহ আরো অনেক নামেই দেবী ভক্তের হৃদয়ে বিরাজ করে। পুরাণ অনুযায়ী দেবী সরস্বতী ব্রহ্মের মুখ থেকে উৎপত্তি । দেবীর সকল সৌন্দর্য্য ও দীপ্তির উৎস মূলত ব্রহ্মা। পূজার জন্য দেবী সরস্বতীর মূর্তি শ্বেত বস্ত্র পরিধান করে থাকে যা পবিত্রতার নিদর্শন। দেবীর আসন কে পুষ্পশোভামন্ডিত করে রাখা হয়। পরিবারের সকল সদস্য খুব ভোরে স্নান শেষে পরিস্কার বস্ত্র পরিধান করে দেবীর সামনে অবস্থান করে এবং পূজার শেষে দেবীর চরণে পুষ্পাঞ্জলি প্রদান করে থাকে। পুরোহিত পূজা শুরু করবার আগ পর্যন্ত দেবীর মুখমণ্ডল ঢাকা থাকে। পূজার অর্ঘ্যর পাশাপাশি দেবীর পূজার আরেকটি প্রধান অংশ ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠ্যপুস্তক। সরস্বতী পূজার একটি বিশেষ অর্য্য হল পলাশ ফুল। দেবীর অঞ্জলীর জন্য এটি একটি অত্যবশ্যকীয় উপাদান।
বিদ্যাদেবী মা সরস্বতী পূজা পরিচালনা ছিলেন শিব সংঘ গীতা শিক্ষালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা ছিলেন প্রশান্ত দে, হৃদয় দে, সাজীব দে, রাসেল দে, সৈকত দে, বিজয় বৈদ্য, অর্ক বৈদ্য, প্রসেনজিৎ দে, অভি দে, অপূর্ব মহাজন, শান্ত দে, অর্নপ দে, বন্ধন দে, অজয় দে, অন্তু দাশ, অজয় বৈদ্য, অভ্র বৈদ্য, মোহন বৈদ্য, তমা দে, অত্রি বৈদ্য, পূর্ণিমা দে, মৈত্রী বৈদ্য, রিয়া দে, শ্রাবণী দে, মিথিলা বৈদ্য, শ্রাবন্তী দে, প্রিয়সী দে, ঐশী বৈদ্য, প্রিয়া দে, অনিশা মহাজন, আয়সী দে, রাধীকা দাশ প্রমূখ।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.