|| ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
কচুয়ায় সংঘটিত চাঞ্চল্যকর “অটোরিক্সা চালক সাব্বির হত্যা” মামলার রহস্য উদঘাটন
প্রকাশের তারিখঃ ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
চাঁদপুর জেলার সম্মানিত পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, পিপিএম মহোদয়ের সার্বিক দিক নির্দেশনায় কচুয়া সার্কেল এর সহকারী পুলিশ সুপার জনাব মোঃ রিজওয়ান সাঈদ জিকু ও কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো.মিজানুর রহমান এর নেতৃত্বে কচুয়া থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম চাঞ্চল্যকর “অটোরিক্সা চালক সাব্বির হত্যা” মামলার রহস্য উদঘাটনসহ ঘটনায় জড়িত প্রকৃত আসামীদের গ্রেফতারে তদন্ত ও আভিযান কার্যক্রম শুরু করেন।
কচুয়া থানাধীন ০৪নং পালাখাল মডেল ইউনিয়নের ভূইয়ারা গ্রামের জাহানারা বেগম এর ছেলে মোঃ সাব্বির হোসেন (১৮) প্রতিদিনের ন্যায় গত ২৪/০১/২০২৪ইং তারিখ দুপুরে খাওয়া দাওয়া শেষ করে বিকাল অনুমানিক ৫টার দিকে ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা নিয়ে, যাত্রী পরিবহনের জন্য মফস্বল এলাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। প্রতিদিনের ন্যায় রাতের মধ্যে সাব্বির হোসেন বাড়ীতে ফিরে না আসায় গত ২৫/০১/২০২৪ইং তারিখ সকালে জাহানারা বেগম কচুয়া থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরী করেন (জিডিনং-১৩০০, তারিখ-২৫/০১/২০২৪ইং)। উক্ত সাধারন ডায়েরীর তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই(নিঃ)/মোঃ দেলোয়ার হোসেন রাজীব ভিকটিমকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখোঁজির একপর্যায়ে, গত ২৫/০১/২০২৪ইং তারিখ সকাল অনুমানিক ১১.৩০টার সময় অত্র থানাধীন পালাখাল বাজার হতে নন্দনপুর গামী পাঁকা রাস্তার দক্ষিণ পাশে সেঙ্গুয়া সাকিনস্থ জনৈক খলিল খন্দকারের কৃষি জমির পাশে কচুরিপানা ভর্তি সরকারী খালের পাড়ে রশি দ্বারা হাত পা বাঁধা এবং সুয়েটার দ্বারা মুখমন্ডল বাঁধা একটি মৃতদেহের খোঁজ পাওয়া মর্মে সংবাদ পান।
পরবর্তীতে কচুয়া থানা পুলিশ ভিকটিমের পরিবারসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে মৃতদেহটি নিখোঁজ অটোরিক্সা চালক সাব্বির হোসেন এর মর্মে সনাক্ত হয়। পুলিশ হাত-পা ও মুখ বাঁধা এবং ধারালো অস্ত্রের জখম প্রাপ্ত মৃতদেহটি উদ্ধার পূর্বক সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় ভিকটিমের মা জাহানারা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে কচুয়া থানায় একটি হত্যা মামলা, যার নং-২১, তারিখ-২৬/০১/২০২৪ইং, ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড দায়ের করেন। অবশেষে অভিযান শেষে কচুয়ার সংঘটিত চাঞ্চল্যকর “অটোরিক্সা চালক সাব্বির হত্যা” মামলার রহস্য উদঘাটন; হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি, লুণ্ঠিত অটোরিক্সা ও ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার এবং মূল পরিকল্পনাকারী’সহ প্রধান ৭আসামী গ্রেফতার করেন কচুয়া থানা পুলিশ। এদিকে সাব্বির হত্যার প্রধান ৭আসামী গ্রেফতার এর খবর বিভিন্ন ফেইসবুক ও ইউটিউবের মাধ্যমে খবর পেয়ে সমগ্র কচুয়ার জনগন, চাঁদপুর জেলা ও কচুয়া থানার সকল পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ প্রকাশ করেন।
তবে সাধারণ জনগণ বলছেন সাব্বির হত্যার মূল আসামীসহ বাকি যাহারা এ হত্যার সাথে পারস্পরিক সহযোগিতায় জড়িত রয়েছেন, তাদের প্রত্যেকের সাজা ও প্রধান আসামীদের ফাঁসীর রায় কার্যকরের দাবী জানিয়েছেন।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.