|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসাইন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম
প্রকাশের তারিখঃ ৩১ জানুয়ারি, ২০২৪
বীর বিক্রম মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুরের সম্ভ্রান্ত চৌধুরী পরিবারে ৩ই ফেব্রুয়ারি ১৯৪৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মরহুম আলী আহসান মিয়া ও মাতার নাম মরহুমা মোসা: আক্তারুন্নেছা।
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, মিউজিক কলেজ থেকে আই মিউজিক পাশ করেন। এছাড়া ও জগন্নাথ কলেজ থেকে তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ইসলামের ইতিহাসে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করে পরবর্তীতে এলএলবি ডিগ্রী অর্জন করেন।
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া,১৯৬৫ সালে ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। তিনি ১৯৯৬ ও ২০১৪ সালে চাঁদপুর-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯৭ সালে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন, পরবর্তীতে ১৯৯৮-২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এবং ২০১৪-২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ে মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এবং ২০২৪ ৭ই জানুয়ারী অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর ২ আসন থেকে বিপুল ভেটে জয় লাভ করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এবং বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য পদে নিয়োজিত আছেন। তার আগে তিনি অবিভক্ত ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য ছিলেন।
১৯৭১ সালে তিনি যুদ্ধকালীন ২ নং সেক্টরের ক্র্যাক প্লাটুনের কমান্ডার হিসেবে বীরত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য তাকে ‘বীর বিক্রম’ খেতাব দেয়া হয়েছিল।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানকারী বিশেষ বিশেষ মুক্তিযোদ্ধাদেরকে তাদের অবদানের ভিত্তিতে বাংলাদেশ সরকার বীরশ্রেষ্ঠ, বীর-উত্তম, বীর বিক্রম ও বীরপ্রতীক উপাধিতে ভূষিত করেন। বীরবিক্রম তৃতীয় সর্বোচ্চ উপাধি। মোট ১৭৫ জনকে এই উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.