|| ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
বাবার আদর্শ আর উপদেশ নিয়ে আমার জীবন সংগ্রামের পথ চলা–নুর-উন নাহার মেরী
প্রকাশের তারিখঃ ২৫ জানুয়ারি, ২০২৪
১৯৬৪ সালে আমি তখন সপ্তম স্রেনীতে পডি বাবা অফিসিয়াল কোর্সে যুক্ত রাষ্ট্রে এসেছিলেন দেশে ফিরে গিয়ে আমাদের ভাই বোনদের জন্য বেশ কিছু গিফ্ট নিয়ে গিয়ে ছিলেন
তার মধ্যে সেরা গিফ্ট ছিলো আমার জন্য Western Watch Co একটি হাত ঘড়ি
আরো নিয়েছিলেন Disney World / Fish World খেকে অনেক গুলো View Card তার মধ্যে কয়েকটি View Card ছিলো তিমি মাছের ফুটবল খেলার দৃশ্য ।মাছের ফুটবল খেলা দেখে আমি ত হত বিহব্বল !
কিন্তু কিছুতেই বুঝতে পারছি না যে মাছ আবার ফুটবল খেলে কি ভাবে এই প্রশ্ন মাথায় ঘুর পাক খাচ্ছে আর আমি এক অবুঝ বালিকার মত বার , বার বাবা কে প্রশ্ন করে চলেছি আব্বা আমাকে বোঝান যে মাছ কি ভাবে ফুটবল খেলে ?আমার মাথায় ঢুকছে না ।
বার বার প্র্শ্ন করায় আব্বা আমাকে আদর করে কাছে ডেকে নিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে বল্লেন
মা তুমি নিজে যে দিন আমেরিকায় যাবে সেখান থেকে Disney World ও Fish World দেখতে যাবে
সেদিন নিজের চোখে দেখবে তিমি মাছ কিভাবে ফুটবল খলে
বাবা এই আশার বানী কেবল শান্তনা বাক্য বলেই ধরে নিয়ে ছিলাম
কিন্তু ভাগ্যের কি অপার মহিমা ১৯৮১ সালে আগষ্ট মাসের দুই তারিখে যুক্ত রাষ্ট্র সরকারের আমন্ত্রনে বাংলাদেশ থেকে একমাত্র প্রতিনিধি হয়ে যুক্ত রাষ্ট্রের প্রখ্যাত ১০ টি বিশ্ব বিদ্যালয়ের মধ্যে একটি Cornell University New York খেকে HRD ও
Higher Labour Leadership এর উপর Diploma course করার আমন্তরন পাই Course শেষে Study Course এর জন্য যুক্ত রাষ্ট্রের ১৫ টি State সফর করার সুবর্ন সুযোগ হয়
তন্ম্ধ্য Florida একটি অন্যতম স্টেট ছিল
আর ছিলো আমার দীর্ঘ্য দিনের লালিত স্বপ্ন Disney World এ
তিমি মাছের ফুটবল খেলা দেখার দুর্লভ সুযোগ ।মাছের ফুটবল খেলা দেখছি আর মনের গভীর গহিনে ১৭ বৎসর পূর্বে বাবার উচ্চারিত সেই শব্দগুলো কর্ন কুহূরে যেনো স্প্ষ্ট শুনতে পাচ্ছি
মা যে দিন তুমি নিজের চোখে দেখবে সেদিন বুঝতে পারবে ও বিশ্বাস করবে
তখন নিজেকে নিজেই প্রশ্ন করলামা “বাবা কি সত্যি কনো বড মাপের দারশ্নিক ছিলেন।
২৪ শে জানুয়ারী আমাদের প্রান প্রিয় জন্ম দাতা পিতা মরহুম লেঃ এম এন ইসলামের (বাঃ নৌ বাহীনি ) আজ ৪২ তম মৃত্যু বার্ষিকী দেখতে দেখতে কত আজ ৪ যুগ পার হয়ে গেলো পিতৃহীন এতিম সন্তান হিসেবে জীবন টা কাটিযে দিলাম ।বাবা মার প্রথম সন্তান হিসেবে আমি বাবার অত্যন্ত আদরের সন্তান ছিলাম যদিও প্রতিটি সন্তানই বাবা মার নিকট একই সমতুল্য । এতে কোন দ্বিধা দ্বন্দ্ব নেই।
বাবার যে দিন মৃত্যু হয় সেই দিনই আমি গিয়েছিলাম গাজীপুরে Official picnic এ পিকনিক থেকে ফিরে ই দেখি অফিসে আমার যিনি বিভাগীয় প্রধান জি ,এম সাহাবুদ্গীন স্যার তিনি আমাকে ডেকে বলেন,নাহার আপনার পিতার শরীর টা মনে হয় একটু খারাপ আপনি অফিসের গাড়ী টা নিয়ে CMH এ চলে যান সাথে আরো দুই জন অফিসার ও দিলেন। ,তখনো আমি বুঝতে পারি নাই যে ,বাবা এ পৃথীবিতে আর নেই। তার আগের দিন বাবা কে হসপিটালে
দেখতে গিয়েছিলাম সেদিন ডাঃ বলে ছিলেন যে আগামী কাল আপনার বাবাকে হসপিটাল খেকে রিলিজ দেয়া হবে এই খুশীর খবর টা শুনে আমরা বাসায় সবাই আন্ন্দে আপ্লুত হয়েছিলাম ।
হাসপাতাল থেকে নয় ,আল্লাহতালা যে উনাকে দুনিয়া থেকেই রিলিজ করে দিবে সে কথা তো আমরা কেউ কল্পনাও করতে পারি নাই ।
হসপিটালে পৌঁছে দেখি সাদা কাফনের ঢাকা বাবার লাশ !
লাশ টা দেখে এক বিকট চিৎকার দিয়েই আমি অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে গিয়েছিলাম ১৫/২০ মিনিট পরে যদিও জ্ঞান ফিরেছে কিন্তু কন্ঠ নালি আঘাত প্রাপ্ত হওয়ায় ৫/৭ মাস পর্যন্ত আমি কথা বোলতে পারি নাই।
আমার বাবা আমার জীবনে এক জন প্রকৃত দার্শনিক ছিলেন ।মারা যাওয়ার দুই দিন পূর্বে বাবা কে দেখতে গিয়েছিলাম হসপিটালে বাবা কি যেনো একটা কাজের কথা বলে ছিলেন আমি আবার উত্তরে বলে ছিলাম বাবা আজ কে না আগামী কাল করবো ইনশাল্লাহ।
বাবা গম্ভীর কন্ঠে আমাকে বল্লেন Maa listen to me “The thing which you have to do tomorrow Why not to day ? “
Don’t keep pending anything for tomorrow ,( বাবা আমার সাথে অধিকাংশ সময় ইংলিশেই কথা বলতেন )
বাবা আরো একটি কখা প্রায়ই আমাদের ভাই বোনদের বিশেষ করে আমাকে বলতেন
কেউ যদি তোমাকে আঘাত করে তাকে কখনো প্রতিঘাত করবে না ,বরং তার সাথে বেশী ভালো আচরন করবে বেশী করে আন্তরিক হবে তখন একদিন সে নিজ বিবেকের তাডনায় তাড়িত তোমার কাছে আত্ম সমপর্ন করবে।
আমার মরহুম পিতার এমন শত শত দৃষ্টান্ত মূলক ঘটনা আছে যা কি না সারা রাত ধরে লিখলেও তা শেষ হবে না। বারা আর্দশ আর উপদেশ নিয়ে আমার জীবন সংগ্রামের পথ চলা।
আপনাদের সকলের নিকট আমার আবেদন আমার মরহুম পিতার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মহান আল্লাহতাল নিকট প্রার্থনা করবেন ।
১৯৬৪ সালে আমি তখন সপ্তম স্রেনীতে পডি বাবা অফিসিয়াল কোর্সে যুক্ত রাষ্ট্রে এসেছিলেন দেশে ফিরে গিয়ে আমাদের ভাই বোনদের জন্য বেশ কিছু গিফ্ট নিয়ে গিয়ে ছিলেন
তার মধ্যে সেরা গিফ্ট ছিলো আমার জন্য Western Watch Co একটি হাত ঘড়ি
আরো নিয়েছিলেন Disney World / Fish World খেকে অনেক গুলো View Card তার মধ্যে কয়েকটি View Card ছিলো তিমি মাছের ফুটবল খেলার দৃশ্য ।মাছের ফুটবল খেলা দেখে আমি হত বিহব্বল !
কিন্তু কিছুতেই বুঝতে পারছি না যে মাছ আবার ফুটবল খেলে কি ভাবে এই প্রশ্ন মাথায় ঘুর পাক খাচ্ছে আর আমি এক অবুঝ বালিকার মত বার , বার বাবা কে প্রশ্ন করে চলেছি আব্বা আমাকে বোঝান যে মাছ কি ভাবে ফুটবল খেলে ?আমার মাথায় ঢুকছে না ।
বার বার প্র্শ্ন করায় আব্বা আমাকে আদর করে কাছে ডেকে নিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে বলন
মা তুমি নিজে যে দিন আমেরিকায় যাবে সেখান থেকে Disney World ও Fish World দেখতে যাবে
সেদিন নিজের চোখে দেখবে তিমি মাছ কিভাবে ফুটবল খলে
বাবা এই আশা---লেখক-নুর-উন নাহার মেরী, চেয়ারম্যান, জাগো নারী ফাউন্ডেশন, সংবাদকর্মী,মানবাধিকার কর্মী,ভারজেনিয়া,আমেরিকা।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.