|| ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদে ডাকাতি, দীর্ঘদিন পর দুর্ধর্ষ ডাকাত গ্রেফতার
প্রকাশের তারিখঃ ১১ জানুয়ারি, ২০২৪
কুড়িগ্রাম সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদে দুই এনজিও কর্মীর কাছ থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা ডাকাতি মামলায় দুর্ধর্ষ ডাকাত মোঃ আল আমিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে আসামির পরিবারের লোকজন মামলাটির তদন্ত কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ পুলিশের।
আজ বৃহস্পতিবার ( ১১ জানুয়ারি) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুড়িগ্রাম সদর থানা পুলিশ।
দীর্ঘ ৭ মাস পর তাকে গ্রেফতার করলো পুলিশ।
মামলা ও এজাহার সুত্রে জানা গেছে, গত ৬ মাস আগে
কুড়িগ্রাম সদরের ব্র্যাকের যাত্রাপুর ব্রাঞ্চের দুই কর্মী চরে ক্ষুদ্র ঋণের টাকা কালেকশন করে ফেরার পথে নদের মাঝপথে নৌকা আটকিয়ে ব্র্যাকের দুই কর্মীকে
মাইরধর করে প্রায় ৬ লাখ টাকা ডাকাতি করে পালিয়ে যায় আল আমিনসহ আরও তিন জন। ঘটনার পর থেকে আসামি পলাতক ছিলেন।
পরে পুলিশ দীর্ঘদিন অনুসন্ধান চালিয়ে প্রধান আসামি আল আমিনকে গ্রেফতার করে। সেই মামলায় সে বর্তমানে কুড়িগ্রাম জেল হাজতে রয়েছেন। আল আমিন যাত্রাপুর ইউনিয়নের কালির আলগা এলাকার বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে মাদকের চোরাচালানসহ গাইবান্ধা জেলায় আরও একটি মাদকের মামলা রয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন স্থানীয় ও পারিবারিক প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন থেকে ওই এলাকায় মাদকসহ বিভিন্ন অপকর্ম করছে আল আমিন। সেসময় মামলাটি করেছিলেন ব্র্যাকের যাত্রাপুর শাখার ব্যবস্থাপক মোঃ গোলাম মোস্তফা।
মামলাটি তদন্তকারী কর্মকর্তা কুড়িগ্রাম সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহিদ হাসান জানান, ব্রহ্মপুত্র নদে ডাকাতি মামলার প্রধান আসামি আল আমিনকে নির্বাচনের রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সে বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের পর থেকে তার পরিবারের লোকজন তদন্ত কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে। যা পুলিশের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক।
ব্র্যাকের ডিস্ট্রিক্ট কো-অর্ডিনেটর সৈয়দ ফাহিদ হাসান জানান, আমাদের দু'জন মাঠকর্মী যাত্রাপুরের চর থেকে ঋণের টাকা কালেকশন করে ফেরার পথে ডাকাতরা মাঝ নদীতে নৌকা আটকিয়ে প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা ডাকাতি করেন। পরে আমরা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে দীর্ঘদিন পর প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.