|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
পটুয়াখালী বাউফলে এলসিএস প্রকল্পের টাকা যখন আত্মসাৎ করলেন প্রকৌশলী সুলতান আহমদ
প্রকাশের তারিখঃ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোঃ সুলতান আহমদের বিরুদ্ধে এলসিএস মহিলা সদস্যদের ৫ লক্ষ ২৮ হাজার টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ভুক্তভোগী মহিলা সদস্যরা উপজেলা পরিষদ এলজিইডি অফিসে একাধিক বার এসেও কোনও সুরহা না পেয়ে এখন দ্বারে দ্বারে ঘুরছে বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট ও অফিস সূত্রে জানা যায়, পল্লী সড়ক ও কালভার্ট রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার ৬টি রাস্তায় ৪৪ জন মহিলা ও ৩ জন সুপার ভাইজার সহ মোট ৫১ জন লোক নিয়োগ দেন উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মোঃ সুলতান আহমদ। কিন্তু তাদের নিয়োগ দিয়ে গত জুলাই- ২৩ ইং মাসে মাঠে নামানোর কথা, তা না করে সঠিক সময়ে নিয়োগ না দিয়ে তাদের কে আগস্ট মাসে নিয়োগ দেখিয়ে পরাপর আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর তিন মাসে প্রতিজনের বেতন ১৮ হাজার টাকা করে উত্তোলন করেন। কিন্তু ওই ১৮ হাজার টাকা প্রতিজনকে না দিয়ে শুধু অক্টোবর মাসের ৬ হাজার টাকা করে প্রতিজনকে দিয়ে আর আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসের প্রতিজনের ১২ হাজার টাকা করে মোট ৫ লক্ষ ২৮ হাজার টাকা প্রকৌশলী সুলতান আহমদ আত্মসাৎ করেন।
এদিকে প্রকৌশলী সুলতান আহমদ টাকাগুলো আত্মসাৎ পূর্বক মহিলা সদস্যদের সাথে সমঝোতা করতে গত শনিবার ২৩ শে ডিসেম্বর-২০২৩ ইং বেলা ১২টার দিকে হিরো মিয়ার পোল সংলগ্ন রাস্তায় যান। সেখানে মহিলা সদস্যদের বির্তক ও তোপের মুখে জড়িয়ে পড়ে মহিলা সদস্যদের দ্বারা অবরুদ্ধ হন। প্রায় ঘন্টাখানেক পরে স্থানীয়দের সহায়তায় সাথে থাকা সুপার ভাইজার মামুন, নজরুল ও খোকনকে নিয়ে অফিসে চলে আসেন।
আরও জানা যায়, অফিসে এসে মহিলা সদস্যরা প্রায়ই কান্নাকাটি করে এবং অফিসের দরজায় বসে থাকে। পরে আবার বুজটুজ দিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। প্রকৌশলী সুলতান আহমদ ডিসেম্বরের ৩১ তারিখ পর্যন্ত চাকরিতে আছেন। এরপরই সে চাকরি থেকে অবসরে চলে যাবেন। অসহায় মহিলা সদস্যদের এ দায়ভার কে নেবে?
ভুক্তভোগী মহিলা সদস্যরা বলেন, আমাদের তিন মাসের বেতন না দিয়ে শুধু অক্টোবর মাসের বেতন দিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছে। আমরা প্রকৌশলী সুলতান আহমদের কাছে আমাদের দুই মাসের বেতন চাইতে গেলে আমাদের দুরদুর করে তারিয়ে দেয়। এবং মাঠে এসে আমাদের বলে যদি একথা আমরা কাউকে বলি তাহলে আমাদের চাকরি থাকবেনা বলে হুমকি দেয়। সে নাকি এই ডিসেম্বর পর্যন্ত চাকরিতে আছে, তারপর সে অবসরে চলে যাবে। তাহলে আমাদের পাওনা দুই মাসের বেতন কে দেবে? আমরা আমাদের পাওনা টাকা চাই এবং তার বিচার চাই।
এবিষয়ে জানতে উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোঃ সুলতান আহমদের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করে কথা না বলায় কোনও প্রকার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তার বক্তব্য নিতে একাধিক বার অফিসে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। সে নাকি সাংবাদিক থেকে দুরে থাকতে নিজেকে আড়াল করে চলছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ বশির গাজী বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না, তবে এব্যাপারে খোঁজ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এব্যাপারে জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল লতিফ বলেন, ব্যাপারটা আপনার কাছ থেকে জানলাম, এখন তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নিচ্ছি।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.