|| ২১শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২১শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি
শুভ বড়দিন আজ ২৫ ডিসেম্বর
প্রকাশের তারিখঃ ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৩
খৃিষ্ট্রধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শুভ বড়দিন ২৫ ডিসেম্বর সোমবার ২০২৩।খৃিষ্ট্ধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিষ্ট এইদিনে(২৫ডিসেম্বর)বেথলেহেমে
জন্মগ্রহন করেন বলেইতাঁরঅনাসারীখৃষ্টধর্মাবলম্বীর অনুসারীরা খৃষ্টধর্মাবলম্বীরা এ দিনটিকে শুভ বড়দিন (ক্রিসমাস ডে) হিসাবে উদযাপন করে থাকে।
খৃষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষেরা বিশ্বাস করেন সৃষ্টি কর্তার মহিমা প্রচারের মাধ্যমে মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করতেই প্রভূ যিশুর পৃতিবীতে আগমন ঘটেছিল।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশের খ্রিষ্টধর্মানুসারীরাও আজ শনিবার যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য্য ও আচারাদি, আনন্দ-উৎসব এবং প্রার্থনার মধ্যদিয়ে শুভ বড়দিন (ক্রিসমাস ডে) উদযাপন করছেন।এ উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গির্জাগুলোকে সাজানো হয়েছে নতুন-আঙ্গিকে। এছাড়াও শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে বিভিন্ন গির্জা এবং তারকা-হেটেলগুলোতে ব্যবস্থা করা হয়েছে আলোক সজ্জার।এদিকে বড়দিন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খ্রিস্টধর্মাবলম্বীসহ সকলের শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে পৃথক বাণী প্রদান করেছেন।
রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীসহ সকলের জন্য অশেষ আনন্দ ও কল্যাণ কামনা করে বলেন,সবার জীবন সুখ ও সমৃদ্ধিতে ভরে উঠুক।
প্রধানমন্ত্রী বাণীতে বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের উদাত্ত আহ্বানে সাড়া দিয়ে সকলে মিলে মুক্তিযুদ্ধ করে আমরা বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন,এই দেশ আমাদের সকলের। বাংলাদেশ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের নিরাপদ আবাসভূমি।বড়দিন উপলক্ষে সাপ্তাহিক ছুটি সত্ত্বেও আজ সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। অপরদিকে দিনটি উপলক্ষে অনেক খ্রিষ্টান পরিবারে কেক তৈরি করা হবে, থাকবে বিশেষ খাবারের আয়োজন। এছাড়াও স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশের অনেক অঞ্চলে আয়োজন করা হয়েছে কীর্তনের পাশাপাশি ধর্মীয় গানের আসর।
খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের অনেকেই আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার জন্য বড়দিনকে বেছে নেন। পরিবারের সদস্যদের সাথে আনন্দ ভাগ করে নিতে অনেকেই রাজধানী ছেড়ে গিয়েছেন গ্রামের বাড়িতে। এদিকে, রাজধানীর তেজগাঁও ক্যাথলিক গির্জায় (পবিত্র জপমালার গির্জা) বড়দিনের বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে। প্রচুর জরি লাগিয়ে গির্জার ভেতর রঙিন করা হয়েছে। ভেতরে সাজানো হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি।রাজধানীর তারকা হোটেলগুলোতে আরোক সজ্জার পাশাপাশি হোটেলের ভিতরে কৃত্রিমভাবে স্থাপন করা হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি ও শান্তাক্লজ ।বড়দিনের প্রক্কালে শুক্রবার রাতে বিভিন্ন গির্জায় বিশেষ প্রার্থনাও অনুষ্ঠিত হয়েছে। আর আজ শনিবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে বড়দিনের প্রার্থনা।
Copyright © 2025 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.