|| ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
নওগাঁর সাপাহার পোরশা সীমান্ত এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে বিষধর রাসেলস ভাইপার
প্রকাশের তারিখঃ ২০ ডিসেম্বর, ২০২৩
নওগাঁর সাপাহার পোরশা সীমান্ত এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে বিষধর রাসেলস ভাইপার নওগাঁর পোরশা উপজেলার সীমান্ত এলাকা নিতপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়েছে বিষধর রাসেলস ভাইপার। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার আমবাগান ও ধানক্ষেতে দেখা যাচ্ছে বিষধর এই সাপ।সম্প্রতি সীমান্তের নিতপুর এলাকার গানইর গ্রামে ও বিভিন্ন ধানক্ষেতে ও আমবাগানে সমন্বিত চাষ করা মাসকলাই গাছে পাওয়া বেশ কয়েকটি রাসেলস ভাইপার মেরে ফেলা হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।পূর্ব গ্রামের দিনমজুর শ্রমিক জালাল উদ্দিন জানান, তারা কয়েকজন শ্রমিক পোরশা সরকারি কলেজ এলাকার ডাঁটঠোকা নামক স্থানে আমবাগানের মধ্যে চাষ করা মাসকলাই গাছ তুলতে যান। এ সময় সেখানে রাসেলস ভাইপার সাপ দেখতে পান এবং তারা সাপটি মেরে ফেলেন। এ ধরনের সাপকে স্থানীয়রা চন্দ্রবোরা বলেন এবং সাপটি মারাত্মক বিষধর বলে জানান।
কাশিতাড়া গ্রামের হাবিব জানান, পলাশডাঙ্গা আশ্রয়ণ গ্রামের পাশে ধানি জমিতে কৃষকরা ধান কেটে রেখে ছিলেন। কয়েকদিন পর সন্ধ্যায় কৃষকরা ওই ধান নিতে গিয়ে ধানের আঁটির নিচে রাসেলস ভাইপার দেখতে পান। এসব ঘটনায় স্থানীয় কৃষকরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।
সোহাতি গ্রামের মজিবর রহমান মাস্টার জানান, কয়েকদিন আগে গানইর গ্রামের পাশে তার ধানের জমিতে গিয়ে তিনি রাসেলস ভাইপার সাপ দেখতে পান। এসময় তিনি সাপটি মেরে ফেলেন।সূত্র মতে, বরেন্দ্র খ্যাত এই অঞ্চলে ২০১৩ সালে রাসেলস ভাইপার সাপ দেখা যায়। এ সময় ওই সাপের বিস্তার না ঘটলেও ২০১৪ থেকে ২০১৬ সালে নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহীর বিভিন্ন এলাকায় এ সাপ ছড়িয়ে পড়ে। সে সময় সাপের কামড়ে অনেক মানুষের মৃত্যুও হয়।এ ব্যাপারে উপজেলা বন কর্মকর্তা সাদেকুর রহমান জানান, যেকোনো প্রাণীকে মেরে ফেলতে বলা যাবে না। কৃষকদের সতর্ক থেকে জমিতে কাজ করতে হবে।উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌফিক রেজা জানান, কিছুদিন আগেও হাসপাতালে এন্টিভেনাম ছিল এবং তারা সাপের কামড়ে আহত রোগীকে চিকিৎসা দিয়েছেন।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.