|| ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
নওগাঁর মহাদেবপুরে খেলার মাঠ খুঁড়ে পুকুর কাটলো মাটি খেকোরা দেখার কেউ নেই
প্রকাশের তারিখঃ ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৩
নওগাঁর মহাদেবপুরে একটি সরকারি খেলার মাঠ খুঁড়ে মাটি কেটে পুকুর বানালো মাটি খেকোরা। গত এক মাস থেকে এই মাঠ থেকে ভ্যেকু মেশিন দিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে মাটি কেটে চুরি করে অসংখ্য ট্রক্টরযোগে নিয়ে গিয়ে ইটভাটায় বিক্রি করলেও প্রশাসন এটি বন্ধে কোন পদক্ষেপ নেয়নি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন এটি ভরাট করে দেয়া হবে।রোববার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার এনায়েতপুর ইউনিয়নের কুমিরদহ গ্রামে গিয়ে দেখা যায় আত্রাই নদীর বাঁধের নীচে বিশাল এলাকা জুড়ে গর্ত করে মাটি কেটে পুকুর তৈরি করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, এই জমিটি সরকারি খতিয়ানভূক্ত খেলার মাঠ। এখানে গ্রামের ছেলেরা স্মরণাতীত কাল থেকে ফুটবল খেলাধূলা করে আসছিল। গত একমাস ধরে এখান থেকে মাটি কেটে নিয়ে ইটের ভাঁটায় বিক্রি করা হচ্ছে। স্থানীয় মাতব্বর, মেম্বারকে বললেও এটি বন্ধে কোন উদ্যোগ নেয়নি কেউ।
কয়েকজন মাটি ব্যবসায়ী জানান, উপজেলা সদরের বালু ব্যবসায়ী হাজী মোয়াজ্জেম হোসেন এখান থেকে মাটি তুলে নিয়ে যাচ্ছেন। বিষয়টি তারা উপজেলা প্রশাসনের নজরে আনেন বলেও জানান। কিন্তু তার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
জানতে চাইলে মোবাইলফোনে মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান সোহাগ বলেন, বিষয়টি তার নজরে এসেছে। তিনি অভিযুক্তকে ডেকে ওই পুকুর ভরাট করে দিতে বলেছেন।
হাজী মোয়াজ্জেম হোসেনও বিষয়টি স্বীকার করে জানান, গর্তটি ভরাট করে দেয়া হবে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় কয়েকজন শ্রমিক নদীতে ড্রেজার মেশিন সেট করছেন। তারা জানালেন, এই মেশিন দিয়ে পাইপের মাধ্যমে বালি দিয়ে পুকুরটি ভরাট করার প্রস্তুতি চলছে। ওই পুকুরের পাড়ে পুকুর থেকে তোলা কিছু মাটি জমা করে রাখা হয়েছে। স্থানীয়রা দাবি করেন যে, পুকুরের মাটি তুলে নিয়ে চরা দামে বিক্রি করা হয়েছে। কিন্তু সেটি নদীর বালু দিয়ে ভরাট করা হলে মাঠটি আর খেলার উপযোগী থাকবেনা। তারা বালির পরিবর্তে অনুরুপ মাটি দিয়ে পুকুরটি ভরাট করার ও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.