|| ৮ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২৫শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ || ১২ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি
নওগাঁর ১১টি উপজেলায় ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে
প্রকাশের তারিখঃ ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৩
সীমান্তবর্তী উত্তরের জেলা নওগাঁর বদলগাছীতে শুক্রবার ১৫ ডিসেম্বর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।গত বৃহস্পতিবার ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। বদলগাছী আবহাওয়া অধিদপ্তরের টেলিপ্রিন্টার অপারেটর আরমান হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।এর আগে গত সোমবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। যা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল।আরমান হোসেন বলেন, ঘন কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের হিমেল বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় তাপমাত্রা নিম্নমুখী হতে শুরু করেছে। তাপমাত্রার ব্যবধান কমে যাওয়ায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। আজ নওগাঁর বদলগাছীতে ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আগের দিন ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। তবে আগামী দিন আবহাওয়ার তাপমাত্রা পরিবর্তন সম্পর্কে তিনি তেমন কিছু বলতে পারেননি।দেখা গেছে, সারাদেশে বইতে শুরু করেছে শীতের অনুভূতি। জেঁকে বসতে শুরু করেছে শীত। ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ছে চারদিক। বইছে হিমেল বাতাস। আবার ঘন কুয়াশার কারণে সকালে ও সন্ধ্যায় হেডলাইট জ্বালিয়ে সড়কে যানবাহন গুলোকে চলাচল করতে দেখা গেছে। সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় হিমেল বাতাস। এরপর রাতভর বৃষ্টির মতো টিপটিপ করে কুয়াশা ঝরে। সকাল পর্যন্ত কুয়াশায় ঢাকা থাকছে গোটা জনপদ। এতে করে দিনের বেলায়ও যানবাহনকে লাইট জ্বালিয়ে চলতে হচ্ছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা কমলেও সন্ধ্যা গড়াতেই আবারও শীত অনুভূত হতে থাকে। কনেকনে শীতে মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন মধ্যে বৃত্ত ও নিম্নআয়ের মানুষ নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার চৌমাশিয়া বাজার এলাকায় ১৬ ডিসেম্বর উপলক্ষে সোনার বাংলার জাতীয় ছোট বড় মাঝারি পতাকা বিক্রি করছেন হাড়কাঁপানো শীতের সকালে। হঠাৎ করে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় স্থানীয় মানুষ এ আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে হিমশিম খাচ্ছেন।
গত বৃহস্পতিবার শুক্রবারে সন্ধ্যায় পার্শ্ববর্তী নওগাঁ থেকে মোটরসাইকেলযোগে বদলগাছী এসেছিলেন নেহাল আহম্মেদ প্রান্ত। ঠান্ডায় কাপছিল সে। তার সঙ্গে কথা হলে তিনি জানালেন, এখনই যদি এরকম কুয়াশা ও ঠান্ডা পড়ে এবং আগামী দিনে যদি আরও তাপমাত্রা কমে যায়, তাহলে কি পরিমাণ ঠান্ডা লাগতে পারে তা অনুমান করা কঠিন। তবে খুব কষ্ট পাবে ছিন্নমূল হত দরিদ্ররা। তাই তাদের পাশে এখনই গরম কাপড় নিয়ে সার্মথ্য অনুযায়ী দাঁড়ানো উচিত বলে মনে করি।
Copyright © 2025 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.