|| ২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২৬শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অপ্রীতিকর ঘটনা বন্ধে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসার কাজ চলছে
প্রকাশের তারিখঃ ৪ ডিসেম্বর, ২০২৩
বিভিন্ন অপরাধ দমনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক কে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর কাজ শুরু হয়েছে।
এর মধ্যে বেশকিছু ক্যামেরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন। এর ফলে উপজেলায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা যায়, ১৫২ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চুরি, ডাকাতি, নাশকতা, চাঁদাবাজি, ইভটিজিং ও সকল প্রকার অপ্রীতিকর কর্মকাণ্ড রোধ করতে ও বিভিন্ন অপরাধ দমনে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা (সিসিটিভি) বসানোর কাজ শুরু হয়েছে।
এরই অংশ হিসেবে গত বছরের ২৩ জুন হাইওয়ে পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় মহাসড়কে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর কাজ দেওয়া হয়। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫২ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। কাজটি শেষ করার কথা ছিল গত বছরের জুনে।
কিন্তু নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে না পারায় প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রাম নগরীর সিটিগেইট থেকে ঢাকা সিটির মহাসড়ক সাইনবোর্ড পর্যন্ত প্রায় ২৫০ কিলোমিটার সড়কে ৪৯০টি স্থানে উন্নত প্রযুুক্তির ১ হাজার ৪২৭টি এই সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রায় ১ হাজার ১শত ক্যামেরা স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
মহাসড়কের অধিকাংশ এলাকা নজরদারীর আওতায় এসেছে। বাকি কাজ নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই শেষ হবে এবং দ্রুতই সম্পূর্ণ এলাকা নজরদারীতে আসবে। হাইওয়ে পুলিশের অ্যাডিশনাল ডিআইজি বরকতউল্লাহ খাঁন জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। ক্যামেরা স্থাপনের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা হবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকা হতে চট্টগ্রামের সিটিগেইট পর্যন্ত সর্বমোট ২৫০ কিলোমিটার মহাসড়ক সম্পূর্ণ নজরদারীতে আসবে। সাধারণ মানুষ নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে চলাফেরা করতে পারবে। দুর্ঘটনা ঘটিয়ে যেকোনো গাড়ী পালিয়ে গেলে সেটাও শনাক্ত করা সম্ভব হবে।
এরফলে মহাসড়কে চালকরা গাড়ী চালানোর সময় অধিকতর সচেতন হবে এবং এতে করে দুর্ঘটনার হার কমে আসবে। এছাড়া মহাসড়কে বিভিন্ন পণ্যবাহী যানবাহন থেকে ডাকাতি, মালামাল চুরি ও নাশকতাসহ সব ধরনের অপরাধ অনেকাংশে কমে যাবে।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.