|| ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
কুড়িগ্রামে বাবাকে মৃত দেখিয়ে জমি বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ মেয়েদের বিরুদ্ধে
প্রকাশের তারিখঃ ২৬ নভেম্বর, ২০২৩
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে এক বৃদ্ধ বাবাকে মৃত দেখিয়ে জমি বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে তারই মেয়েদের বিরুদ্ধ। এমনি ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের খোচাবাড়ি গ্ৰামে।
রোববার (২৬ নভেম্বর) সংবাদকর্মীদের কাছে এ অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী আবুল কাশেম।
জমি বিক্রির বিষয়টি জানান পরে ভুক্তভোগী বৃদ্ধ আবুল কাশেম (৭০), কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও ফুলবাড়ী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অন্যদিকে অভিযোগ তদন্তে ফুলবাড়ী থানা পুলিশ ভুক্তভোগীকে ডেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেওয়ারও অভিযোগ করেছেন ওই বৃদ্ধ।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, বৃদ্ধ মোঃ আবুল কাশেম পৈতৃক সূত্রে পাওয়া তার ৮৯ শতক জমিতে দীর্ঘ দিন যাবৎ চাষাবাদ করে আসছেন। কৃষি কাজ করেই জীবন জীবিকা নির্বাহ করতেন তিনি। সংসার জীবনে তিনি পাঁচ কন্যা সন্তানের জনক। মেয়েদের সবাইকে বিয়েও দিয়েছেন তিনি।
এক পর্যায়ে তার প্রতিবেশী ফুলবাড়ী সাব রেজিষ্টার অফিসের এক দলিল লেখক মাধ্যমে বাবাকে মৃত দেখিয়ে তার কন্যা শেফালী বেগম, শাহিনা বেগম, রোশনা বেগম, সেলিনা বেগম ও জোসনা বেগম ০৯ শতক জমি প্রায় ৫ বছর আগে পঁচা মামুন নামের এক প্রতিবেশির কাছে বিক্রি করে দেন। অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে, দলিলের ৭নং কলামে দলিল লেখক লিখেছেন, এসএ রেকর্ডীয় মালিক বনিজ মামুন নামীয় সম্পত্তি। বনিজ মামুন মারা গেলে তাহার ত্যাক্ত সম্পত্তির ওয়ারিশ পুত্র আবুল কাশেম প্রান্ত হন। আবুল কাশেম মারা গেলে তাহার ত্যাক্ত সম্পত্তির ওয়ারিশ হিসেবে কন্যা শেফালী বেগমসহ অন্যন্য মেয়েরা প্রাপ্ত হন।
বৃদ্ধ আবুল কাশেম অভিযোগ করে বলেন, আমি আমার জীবদ্দশায় স্ত্রী ও কন্যাদের কোন জমি হস্তান্তর করি নাই। প্রতিবেশী দলিল লেখক ফজলুল হক ও আমার মেয়েরা আমাকে মৃত দেখিয়ে ৯ শতক জমি বিক্রি করেছে পচা মাহমুদ নামের একজনের কাছে।
তিনি বলেন, আমার তো বয়স হয়েছে। আমি আর কাজ করতে পারি না। জমিতেও যাই না। অন্যজন জমি বর্গা নিয়ে আবাদ করত। ওই ৯ শতক জমি বিক্রি করতে গিয়ে জানতে পাই আমার জমি নাকি আমার মেয়ারা বিক্রি করেছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচারের জন্যে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছি। আমি এর বিচার চাই।
তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, দলিল লেখক ফজলুল হক ও আমি একই জামায়াতের নামাজ পড়ি। কিন্তু ফজলুল হক আমাকে মৃত দেখিয়ে কিভাবে দলিল লিখলো। এর আমি কঠিন বিচার দাবি করছি।
বিষয়টি জানতে কাশেম আলীর মেয়েদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।
ফুলবাড়ী উপজেলার দলিল লেখক ফজলুল হক বলেন, কাশেম আলী ১৫ সালে তার জমি মেয়েদের লিখে দিয়েছেন। মেয়েরা সেই জমি বিক্রি করেছে। সব ডকুমেন্টস আমার কাছে রয়েছে। অযথা হয়রানি করার জন্য তিনি এসব অভিযোগ বিভিন্ন স্থানে দিচ্ছেন।
ফুলবাড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রাণ কৃষ্ণ দেবনাথ জানান, এরকম একটি অভিযোগ পেয়েছি। যেহেতু বিষয়টি জমিজমা সংক্রান্ত আমি তাকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। পুলিশ সাদা কাগজে সই নিয়েছে বিষয়টি সম্পুর্ন মিথ্যা বলেছে আপনাকে।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.