|| ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
ফেনী- ৩ আসনে নৌকার মনোনয়ন ফরম জমা দিলেন জাহাঙ্গীর ফিরোজ
প্রকাশের তারিখঃ ২১ নভেম্বর, ২০২৩
এবার যুক্তরাজ্য প্রবাসী বাঙ্গালীর মধ্য থেকে মানবিক ও জনপ্রিয় প্রার্থী জাহাঙ্গীর ফিরোজ। জাহাঙ্গীর ফিরোজ ব্রিটিশ-বাংলাদেশী কমিউনিটির এক প্রিয় মুখ। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ও চৌকস এই মানুষটির শিক্ষা, রাজনীতি, সমাজসেবা, পর্যটন ও সাহিত্যাঙ্গনে অবাধ বিচরণ। একজন ব্যবসায়ী হিসেবেও সফল তিনি।
বর্তমানে তিনি যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ, নিউহ্যাম এর ভাইস-প্রেসিডেন্ট এবং ব্রিটিশ লেবার পার্টির একজন অন্যতম সদস্য। লেবার পার্টির পক্ষ থেকে বাংলাদেশ বংশোদ্ভূত এমপি টিউলিপ সিদ্দিক, রওশনারা আলী, রুপা হক ও আপসানা বেগম সহ লন্ডন মেয়র সাদেক খানের নির্বাচনী প্রচলনায় তিনি সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন।
জাহাঙ্গীর ফিরোজ একজন রাজনৈতিক ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। স্বভাবতঃ কারণেই রাজনীতি তাঁর অস্থি-মজ্জায় ও ধমনীতে প্রবাহিত। তাঁর বাবা মরহুম ইঞ্জিনিয়ার সিদ্দিক আহমেদ একজন রাজনীতি সচেতন ব্যক্তি ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ রেলওয়ের কল্যাণ পরিষদ এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর অন্যায়, অত্যাচার ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে তিনি আন্দোলন-সংগ্রাম গড়ে তোলেন। ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান ও ৭০ নির্বাচনে তিনি বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন। তাঁর চাচা আনোয়ার বাঙাল একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তাঁর 'মা' একজন শিক্ষানুরাগী ও দানশীল নারী ছিলেন। তাঁর মায়ের অন্যতম কৃতিত্ব হচ্ছে, তিনি তাঁর ৬ ছেলে ও ২ মেয়েকে সুশিক্ষিত করেছেন। তাই সমাজে তিনি 'রত্নগর্ভা' হিসেবে খ্যাত।
জাহাঙ্গীর ফিরোজ পরিবারের দ্বিতীয় সন্তান। তাঁর সব ভাই-বোনগুলো রাজনৈতিক, সামাজিক, সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে সক্রিয় ও জনপ্রিয়।
জাহাঙ্গীর ফিরোজ এর একটি সুন্দর মানবিক মন রয়েছে। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি তিনি সামাজিক ও মানবিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত রয়েছেন। মানবতার সেবায় নিবেদিত তাঁর সংস্থা পিপল'স এইড ইন্টারন্যাশনাল ইউকে'র কার্যক্রম অন্যতম। এই সংস্থা দেশে- বিদেশে প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইলচেয়ার বিতরণ করে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। সম্প্রতি কলকাতা ও নেপালে প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ করেন তিনি তাঁকে প্রতিবন্ধীর বন্ধু বলা হয়। তিনি এই সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। তাছাড়া, সামাজিক সংগঠন ফেনী সমিতি ইউকে'র সাধারণ সম্পাদক তিনি।
জাহাঙ্গীর ফিরোজ ছাত্র জীবনে একজন মেধাবী ছাত্র ছিলেন। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি তাঁর মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন এবং সক্রিয় ছাত্র রাজনীতির শহীদ জড়িত ছিলেন। স্কুল জীবনে অষ্টম শ্রেণীতে তিনি মেধাভিত্তিক সরকারী বৃত্তি অর্জন করেন। মঙ্গলকান্দি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, সোনাগাজী, ফেনী থেকে ১৯৭৪ সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় তিনি অসাধারণ রেজাল্ট করেন এবং চার বিষয়ে লেটার মার্কসসহ সেন্টারের মধ্যে সর্বোচ্চ নাম্বার নিয়ে প্রথম বিভাগে পাস করেন। অতঃপর তিনি কৃতিত্বের সহিত ফেনী কলেজ থেকে এইচএসসি এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন করেন। শিক্ষকতা দিয়ে তিনি কর্মজীবন শুরু করেন। মাত্র কয়েক বছর যাবত তিনি দত্তপাড়া কলেজ, লক্ষ্মীপুর এবং বিএএফ শাহীন কলেজ, চট্টগ্রামে শিক্ষকতা করেন। ইতিপূর্বে, তিনি ১৯৮৪ সালে বিসিএস প্রশাসন চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশতঃ রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে চাকুরীতে যোগদান করা সম্ভব হয়নি। অতঃপর ১৯৯০ সালের ২৫ শে আগস্ট বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনে ডেপুটি ম্যানেজার পদে যোগদান করেন এবং কয়েক বছরের মধ্যেই ম্যানেজার হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন। বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চাকুরী তাঁর জীবনের অপার সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত করে। সততা, নিষ্ঠা, মেধা-মনন, বিনয় ও কর্মদক্ষতা তাঁকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রিয় করে তোলে। পর্যটনের মাধ্যমে শুরু হয় তাঁর দেশ ভ্রমণ এবং পর্যটন বিষয়ক উচ্চতর পড়ালেখা ও প্রশিক্ষণ।
১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন এর মাধ্যমে জার্মান সরকারের স্কলারশিপ নিয়ে তিনি প্রায় দুই বছর মেয়াদী হোটেল ও ট্যুরিজম ব্যবস্থাপনার উপর উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য জার্মানীতে চলে যান। অতঃপর একাধিকবার জার্মানী, নেদারল্যান্ড, পোল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপ-আমেরিকার অনেক দেশ ভ্রমণ করেন। একটানা ১২ বছর বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনে ব্যবস্থাপক পদে চাকুরী করার পর ২০০২ সালে নিয়েন নিয়ে তিনি সপরিবারে লন্ডনে চলে আসেন। লন্ডনে আসার পর তাঁর জীবনের নতুন দিগন্ত উন্মুক্ত হয়। তিনি একজন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি। নতুন উদ্যমে তিনি পড়ালেখা শুরু করেন। প্রথমতঃ যে কয়েকটি কলেজ থেকে বিভিন্ন বিষয়ে উচ্চতর পেশাগত সনদ অর্জন করেন, তাদের মধ্যে ব্রোকেনহাস্ট কলেজ( Brokenhurst College), ট্রিনিটি কলেজ লন্ডন(Trinity College London) ফামবরো কলেজ অফ টেকনোলজি( Farnborough College of Technology) এবং বেইজিংস্টক কলেজ অফ টেকনোলজি ( Basingstoke College of Technology) অন্যতম। অতঃপর তিনি ইউনিভার্সিটি অব ব্যাডফোডশায়ার (University of Bedfordshire) থেকে বিজনেস ম্যানেজমেন্টে অনার্স ডিগ্রি এবং এংলিয়ার রাস্কিন ইউনিভার্সিটি Anglia Ruskin University) থেকে মার্কেটিং অ্যান্ড ইনোভেশন এ মাস্টার ডিগ্রী অর্জন করেন।
তিনি একজন পর্যটন বিশেষজ্ঞ। পর্যটন শিল্পের প্রতি রয়েছে তাঁর অদম্য আগ্রহ, আবেগ, অনুভূতি ও গভীর ভালোবাসা। তাই তিনি ট্যুরিজম লিভ ইন্টারন্যাশনাল, ইউকে নামে একটি প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি করে বাংলাদেশ পর্যটন শিল্পের প্রচার ও প্রসারে দেশে-বিদেশে বিভিন্ন আলোচনা সভা, সেমিনার, ওয়াকসপ, কালচারাল শো ও টকশো আয়োজন করে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছেন; যার ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়াসহ সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যাপক প্রচার হচ্ছে। তিনি এই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করছেন।
জাহাঙ্গীর ফিরোজ একজন প্রাক্তন রোটারিয়ান। পর্যটন মোটেল, সিলেটে কর্মরত অবস্থায় তিনি রোটারি ক্লাব অভ জালালাবাদ এর ডাইরেক্টর- ক্লাব সার্ভিস এবং পর্যটন মোটেল, বগুড়ায়
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.