|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
স্বামীর হাতে স্ত্রীর মৃত্যুর অভিযোগ-DBO-News
প্রকাশের তারিখঃ ১৯ নভেম্বর, ২০২৩
:
স্বামী- স্ত্রীর সম্পর্ক মধুর সম্পর্ক যাহা স্রষ্ঠা কর্তৃক প্রদত্ত। যাহা জন্ম-জন্মান্তর এর নিখুঁত বিশ্বাস ও ভালোবাসার গল্প তৈরি হওয়ার কথা। কিন্তু এখানে জন্ম নিয়েছে সম্পূর্ণ উল্টোটা।
চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলার টামটা উত্ত র ইউনিয়নের সুরসই কাজী বাড়ীতে স্বামী হাবিবুর রহমান ( ৪৮ ) দ্বিতীয় স্ত্রী রিনা আক্তার (২৫)কে কুপিয়ে হত্যা করেন ।
১৭ নভেম্বর শুক্রবার বিকাল অনুমানিক ৩টায় সুরসই কাজী বাড়ীতে এই ঝঘন্যতম হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।
শাহরাস্তি থানা পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানাযায় , টামটা দক্ষিণ ইউনিয়নের টামটা কাজী বাড়ীর বিল্লাল হোসেনের কন্যা রিনা আক্তার (২৫) সাথে গত ২ মাস আগে টামটা উত্তর ইউনিয়নের সুরসই কাজী বাড়ীর হাবিবুর রহমান ( ৪৮) দ্বিতীয় বিয়ে করেন ।
বিয়ের পর থেকেই দুজনের মধ্যে বনিবনা নিয়ে পারিবারিক কলহ ও বিরোধ চলে আসছিল। রিনা আক্তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও টিকটকে জড়িয়ে পড়েন। স্বামী হাবিবুর রহমান প্রথম স্ত্রীর দেয়া মামলায় গ্রেফতার হলেন। গত ১৭ ই অক্টোবর স্ত্রী রিনা আক্তার স্বামীর বাড়ি থেকে ঢাকা চলে যান।
স্ত্রী রিনা আক্তার ১ মাস পর গত ১৭ নভেম্বর শুক্রবার দুপুর আনুমানিক ২ টায় স্বামীর বাড়ি সুরসই কাজী বাড়ীতে আসে।
এ সময় স্বামী হাবিবুর রহমান ও স্ত্রী রিনা আক্তার সাথে বাক বিতন্ডা ও তুমুল ঝগড়া সৃষ্টির একপর্যায়ে স্বামী হাবিবুর রহমান ছুরি নিয়ে স্ত্রী রিনা আক্তার কে আগাত করতে চাইলে সে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে পাশ্ববর্তী তার দেবর প্রবাসী রেদোয়ান ঘরে আশ্রয় নিতে গেলে দৌড়ে সেই ঘরে গিয়ে তাকে ধরে ফেলে(স্বামী ) ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে।
প্রবাসী রেদোয়ান স্ত্রী নাজমা আক্তার (৩০) জানায়, ২ মাস আগে তাদের বিয়ে হয়, বিয়ের পর থেকেই পারিবারিক ঝগড়া, পরকীয়া ধরা পড়ে রিনা। এ সময় টিকটিক ও ফেসবুক নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে, প্রথম স্ত্রীর মামলায় বাসুর হাবিবুর রহমান গ্রেফতার হলে, সে সুযোগে রিনা বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়।
একমাস পর বাড়ি ফেরায় দুজনের ঝগড়ার একপর্যায়ে বাসুর হাবিবুর রহমান তাকে ছুরি দিয়ে বেধরক কোপায়, ঘটনাস্থলেই রিনা মারা যায়।
এ বিষয়ে এ. এস. পি.( কচুয়া) সার্কেল রিজওয়ান সাঈদ জিকু জানান, এ বিষয়ে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে তার বাবা বিল্লাল হোসেন মামলা করেছেন। আসামিকে ধরার প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে। বিষয়টি তদন্তাধীন।
এ বিষয়ে শাহরাস্তি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন জানান, বিষয়টি অবগত হওয়ার পর আমরা ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। নিহতের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.