|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
পাঁচবিবিতে আগাম আলু চাষে ব্যস্ত কৃষক
প্রকাশের তারিখঃ ১৫ নভেম্বর, ২০২৩
সাখাওয়াত হোসেন,পাঁচবিবি প্রতিনিধিঃ
আগাম জাতের আমন ধান ঘরে তুলে এখন আগাম আলু চাষে ব্যাস্ত সময় কাটাচ্ছেন পাঁচবিবি উপজেলার কৃষকরা। আগাম জাতের আলু চাষ করে লাভবান হওয়ায় আশায় বরাবরের মতো এবারও আলু চাষ করছেন এ উপজেলার কৃষক। চলতি আমন মৌসুমের কিছু কিছু আগাম জাতের ধান ঘরে তুলেছেন কৃষক। সেই জমিতে এখন আগাম আলুর বীজ রোপন করছে।
উপজেলার বাগজানা, ধরঞ্জী, রতনপুর, নন্দইল, তাজপুর, আয়মারসুলপুর, কড়িয়া, কেশবপুর, বালিঘাটা সহ কয়েকটি আলু চাষের জমিতে গিয়ে দেখা যায় কৃষকরা আলু চাষে ব্যাস্ত হয়ে পড়েছেন। এসময় কথা হয় উপজেলার বাগজানা ইউনিয়নের খোর্দ্দা (গঙ্গাঁপ্রসাদ) গ্রামের কৃষক জয়দেব, হাজরা বেগম, উজ্জ্বল, হবিবর ও লিটনের সাথে কথা বললে তারা জানান আগাম জাত হিসেবে আমরা রোপন করছি ক্যারেজ ও কার্ডিলাল জাতের আলু যা থেকে ৫০ দিনে ফলন পাওয়া যায়। প্রতি বিঘায় আলু চাষে খরচ হচ্ছে প্রায় ২৫ থেকে ২৭ হাজার টাকা, ১ বস্তা আলুর বীজ ৫ বিঘা জমিতে রোপন করা যায়। এবার আলুর বীজের দাম বেশি। আরো জানান আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে প্রতি বিঘায় ফলন ভাল হলে ৮০ থেকে ১০০ মণ আলু উৎপাদন হবে। যা ৪০—৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। আগাম জাতের আলু বাজারে দামও ভাল থাকে, প্রতি বছরের ন্যয় এবারও আলু চাষীরা আশাবাদী আগাম জাতের আলু মাঠ থেকে উঠিয়ে বাজারে প্রথম অবস্থায় খুচরা বাজারে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রয় হবে এই বাজার দর স্থিতিশীল থাকলে আমরা (আলু চাষী) কিছুটা লাভের মুখ দেখব।
বাগজানা ইউনিয়নের খোর্দ্দা গ্রামের সুবাস, হবিবর, চঞ্চল, সুমন, ঝুলু একই কথা বলেন। তারা বলেন আলুর জমি প্রস্তুত হয়ে গেছে। কোল্ড স্টোর থেকে বীজ এনে কর্তিক মাসের বাকি দিনের মধ্যেই আলু রোপনের কাজ আমরা শেষ করব বলে তারা জানান। আসন্ন ১লা অগ্রহায়ন বাঙ্গালীর নবান্ন উৎসব কে ঘিরে এ অঞ্চলে আলু চাষের ব্যস্ততা লক্ষ্য করা যায়। নবান্নের আগে নতুন আলুর চাহিদা বেড়ে যায় ও কৃষকরা দাম বেশি পায়। ধরঞ্জী ইউনিয়নের শ্রীমন্তপুর গ্রামের আলু চাষীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ৫০—৫৫ দিনের মধ্যে এ আলু ক্ষেত থেকে তোলা যায় বলে কৃষকদের আলু চাষের আগ্রহ বেশি।
বাগজানা খোর্দ্দা এলাকার আলু চাষী স্বপন সাহা জানান, গতবার পাঁচ বিঘা জমিতে আলু আবাদ করলেও এবার দ্বিগুণ করেছেন। গতবার ভালো দাম পেয়েছেন বলে জানান তিনি।
অপরদিকে বর্তমান সময়ে গ্রামাঞ্চলে কোন কৃষি কাজ না থাকায় আগাম জাতের আলু চাষের কারনে দিনমজুরদের কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে তবে মজুরি বৈষম্যে নারী দিনমজুররা । পুরুষ শ্রমিকের প্রতিদিনের হাজিরা পারিশ্রমিক ৩০০/৪০০ টাকা পাশাপাশি এ কাজে নারী শ্রমিকদের পারিশ্রমিক ৩০০টাকা ।
পাঁচবিবি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফর রহমান বলেন, উপজেলায় এবার ২৫০০ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের আলু চাষ হচ্ছে। অধিক দামের আশায় কৃষকরা আগাম জাতের আলু আবাদে নেমে পড়েছেন। আগামী ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি মাসেই এই আলু বাজারে পাওয়া যাবে বলে তিনি জানান।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.