|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
নওগাঁর বিভিন্ন কমিউনিটি ক্লিনিকসহ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সময়মতো মিলছেনা স্বাস্থ্যসেবা দেখার কেউ নেই
প্রকাশের তারিখঃ ১২ নভেম্বর, ২০২৩
খেয়াল খুশিতে চলছে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার চেরাগপুর ইউনিয়নের ৯ নং চৌমাশিয়ার ফুলবাড়ীর কমিউনিটি ক্লিনিকের সময়মত ডাক্তার আসে না, আবারও চৌমাশিয়া বাড়পুর সরকার- পাড়া আদিবাসী -পাড়া গ্রামের রোগীরা নাম প্রকাশের অনুচ্ছুক তারা বলেন আমরা অসহায় নৃগোষ্ঠীর আদিবাসী মানুষ টাকা পয়সার অভাবে বড় ডাক্তারকে দেখাতে পারিনা এই জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা ও ওষুধ পাই না শুধু প্যারাসিটামল এ ইন্টারসিটি ট্যাবলেট দেয় বাকি ভিটামিন সিরাপ ওষুধ গুলা যায় কোথায় দেখার কেউ নেই । এবং বদলগাছীর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।মানেন না তাঁরা সরকারি আদশে-নিষেধ।সঠিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা। এমন চিত্র হরহামেশাই দেখা যায় নওগাঁর বদলগাছী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।কয়েকদিনের অনুসন্ধানে দেখা যায়, বদলগাছী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দ্বায়ীত্বে থাকা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার সহ ডাক্তাররা হাসপাতালে আসেন সরকার নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে। বর্তমানে সরকারি অফিস সময় সকাল ৯ টা হতে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত হলেও এই হাসপাতালের ডাক্তাররা আসেন সকাল ১০ টার পরে।
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সকাল ৯টা থেকে এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কার্যক্রম শুরু হওয়ার নিয়ম থাকলেও চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারী কেউই তা মানছেন না। নির্ধারিত সময়ের দেড় ঘণ্টা কিংবা দুই ঘন্টা পর শুরু হয় এখানকার যাবতীয় কার্যক্রম এবং নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বেই স্থান ত্যাগ করে চলে যান চিকিৎসক। যা সরকারি সিদ্ধান্ত এবং নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখানোর সমতুল্য। অথচ উপজেলার দূর-দূরান্ত থেকে অনেক আগেই চিকিৎসা সেবার জন্য এখানে এসে ভীড় করেন রোগীরা।দুপুর ১টার পর থেকে অনেক চিকিৎসককে আর নিজেদের কক্ষে পাওয়া যায় না। চিকিৎসা সেবা নিতে আসা খালিদ, সোবহান, হাসান, রশিদা, সেতু, দেলেজানসহ অনেকে ক্ষোভ নিয়ে বলেন, এ হাসপাতাল শুধু নামেই। এখানে ঠিক সময়ে ডাক্তারদের যেমন পাওয়া যায় না তেমনি প্যারাসিটামল আর এন্টাসিড ট্যাবলেট ছাড়া অন্য কোনো ওষুধও দেওয়া হয় না। বাইরে থেকে টাকা দিয়েই সব ওষুধ কিনতে হয়।সরেজমিনে সকাল ৯টা থেকে রোগী দেখার কথা থাকলেও মঙ্গলবার (৩১শে অক্টোবর ১লা নভেম্বর) সরেজমিনে সকাল ৯টা থেকে সকাল ১০ টা পর্যন্ত বহির্বিভাগের দরজা খোলা থাকলেও নির্ধারিত সময় পর্যন্ত কোনো ডাক্তারকে দেখা যায়নি। শুধু বর্হিবিভাগের ডাক্তার নয় ডাক্তারের সাথে অনান্য কর্মকর্তা ওকর্মচারীরাও আসেন নি।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আয়া বলেন, দুপুর ২টা পর্যন্ত বহির্বিভাগে সেবা দেবার নিয়ম থাকলেও বেলা ১টার পরই কোন ডাক্তার থাকে না। এ বিষয়ে সকাল ৯টার পর বদলগাছী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কানিজ ফারহানার কার্যালয়ে পাওয়া যায় নি দুপুর পৌণে ৩ টার সময় গিয়ে তাঁকে না পেয়ে পরদিন মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমাদের হাসপাতালে দুই ধরনের ডিউটি হয়। অফিস অনযায়ী ডিউটি আড়াই টা এবং যারা তিন বেলা রোস্টার করে ডিউটি করা তারা রোস্টার মেনে চলে। এব্যপারে নওগাঁ জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ আবু হেনা মোহাম্মদ রায়হানুজ্জামান সরকার বলেন, সকাল ৮ থেকে অফিস শুরু এবং ২টা ৩০মিনিটে শেষ। যদি কেউ অনিয়ম করে বিষয়টি প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে জানান। তারপরও বিষয়টি আমি দেখবো।
নওগাঁ প্রতিনিধিঃ।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.