|| ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
আজ দীপাবলি শ্যামা কালীপূজা
প্রকাশের তারিখঃ ১২ নভেম্বর, ২০২৩
দুর্গাপূজা শেষ হলেও বাঙালির আনন্দের রেশ
মেটেনা।কারণ দুর্গাপুজার কিছুদিন পরেই শুরু
হয়ে যায় কালীপুজার উৎসব।দুর্গাপুজা বাঙালির
শেষ্ঠ উৎসব হলেও গোটা দেশের নিরিখে সবচেয়ে
বড় ধর্মীয় উৎসব হল দীপাবলি।ধন তেরস থেকে শুরু হয়ে ভাই ফোঁটা পর্যন্ত পাঁচ দিন ধরে চলে আলোর উৎসব।বাঙালিরা এই সময় কালীপুজো পালন করেন। তাই দুর্গাপুজো শেষ হয়ে যাওয়ার দুঃখে প্রলেপ লাগাতেই যেন দেবী দুর্গা বিদায় নেওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই উপস্থিত মা কালী।
কালীপুজোয় অমাবস্যার অন্ধকার রাতে আলোর
মালায় সেজে উঠে প্রায় গোটাদেশ।হিন্দু ধর্মের আর এক গুরুত্বপূর্ণ উৎসব দীপাবলি। প্রতি বছর কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে দীপাবলি পালিত হয়। দীপাবলিকে সুখ-সমৃদ্ধি প্রদানকারী উৎসব মনে করা হয়। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী এ দিন লক্ষ্মী নিজের ভক্তদের বাড়িতে আসেন এবং তাঁদের ধন-ধান্যের আশীর্বাদ প্রদান করেন। এ দিন লক্ষ্মী-গণেশ পুজোর পাশাপাশি দীপান্বিতা লক্ষ্মী পুজোও করা হয়। চলতি বছর দীপাবলির সঠিক তারিখ নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে।
প্রত্যেক সার্বজনীন আনন্দের উৎসব মন্দের বিরুদ্ধে ভালোর জয় কে উদযাপন করে। আলোকসজ্জার এই দীপাবলিতে অন্ধকারের বিরুদ্ধে আলো জ্বালানোর দিন নিজের ভিতর বাহিরে সকল অজ্ঞতা ও অহংকার দূর করার দিন।
প্রেম, প্রীতি, ভালোবাসার চিরন্তন শিখা জ্বালিয়ে তোলার দিন। দেশ থেকে দেশে, অঞ্চল থেকে অঞ্চলে, এই দিনের মাহাত্ম্য। ভিন্ন ভিন্ন মূলকথা হলো এক আর আধ্যাত্মিকতার গভীর দর্শন এইদিন আত্মাকে প্রজ্বলিত করে। পরিশুদ্ধ করে সেই পরম ব্রহ্মের নীল হওয়ার দিন। কার্তিক মাসের অমাবস্যার মধ্যরাতে মহাদেবীর এই ভূমন্ডলে আবির্ভাব হয়। এটাই তাঁর আবির্ভাব তিথি।
দীপাবলি বা দেওয়ালি এর যাত্রাতে আলোকমালায় প্রজ্বলিত করে নিজেদের অন্ধকার থেকে আলোতে নিয়ে যাওয়ার নাম হল দীপাবলী । আলোর মাধ্যমে শক্তি-সাধনা, নিজেকে পূর্ণ মনে করে তোলাই জগতের মূল শক্তি সাধনা। মূলকথা হলো দীপাবলি সবার জীবনে সুখ নিয়ে আসুক। ঘুঁচে যাক সকল অন্ধকার, সকল যন্ত্রণা, জ্বলুক শান্তির প্রদীপ ভালোবাসার প্রদীপ।
বিজয়া দশমী বা দশেরায় রাবণ বধ করে এই দীপাবলির রাতেই অযোধ্যা ফিরে ছিলেন রাম,সীতা ও লক্ষণ তাঁদের স্বাগত জানাতেই প্রদীপের আলোয় সেজে উঠেছিল গোটা অযোধ্যা। সেই থেকেই চলছে দীপাবলিতে প্রদীপ জ্বালানোর প্রথা। এছাড়া দীপাবলিতে প্রদীপ জ্বালালে সমৃদ্ধির দেবী লক্ষ্মী এবং জ্ঞানের দেবতা গণেশ আমাদের ঘরে প্রবেশ করেন বলে প্রচলিত বিশ্বাস। আসলে দীপাবলি হল মনের অন্ধকার ও জীবনের অন্ধকারকে দূর করে আলোর জয়গান
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.