|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
মির্জা ফখরুল ইসলাম, মির্জা আব্বাস এবং গয়েশ্বর চন্দ্র বিরুদ্ধে মামলা
প্রকাশের তারিখঃ ২ নভেম্বর, ২০২৩
মির্জা ফখরুল ইসলাম, মির্জা আব্বাস এবং গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে, পিস্তল, শর্টগান ও রাইফেল ছিনতাই, ভাঙচুর ও হামলার ঘটনায় রাজধানীর পল্টন থানায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ৫৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) খিলগাঁও থানার উপপরিদর্শক মাহবুবুর রহমান মুন্সি বাদী হয়ে পল্টন থানায় এ মামলা করেন।
এ মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
এ মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারাসহ অনেক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হয়ে সরকার বিরোধী ও উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান করেন। তারা পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপরে হামলা করে মনোবল ভেঙ্গে দেওয়ার ইঙ্গিত দেয়।
উসকানিমূলক বক্তব্যে প্ররোচিত ও উৎসাহিতরা প্রধান বিচারপতির বাসভবনে আক্রমণ করে। পুলিশ দুষ্কৃতকারীদের ধাওয়া দিলে তারা কাকরাইল মোড়ের দিকে যায় এবং সেখানে থাকা পুলিশ সদস্যদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করতে থাকে।
এরপর নাইটিঙ্গেল মোড়েও বিএনপির নেতাকর্মীরা ওপর ইটপাটকেলসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ অব্যাহত রাখে।
বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা কাইরাইল, নয়াপল্টন ও বিজয়নগর ত্রিমুখীভাবে ইট পাটকেলসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ অব্যাহত রাখে এবং বিজয়নগর হোটেলের নীচে থাকা মোটরসাইকেলসহ স্থাপনা ও রাস্তার বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ করে ভীতি সৃষ্টি করে।
এতে কয়েকজন পুলিশ অফিসার ও ফোর্স আহত হয়। আসামিরা পুলিশের ওপর আক্রমণ করে একটি পিস্তল, দুটি শর্টগান, একটি চায়না রাইফেল, একটি গ্যাসগান, গুলি ও সরকারি অন্যান্য মালামাল নিয়ে যায়।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.