|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
মতলব উত্তরে বাগানবাড়িতে ভাঙা ব্রিজে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল, আকস্মিক দুর্ঘটনার আশংকা
প্রকাশের তারিখঃ ১ নভেম্বর, ২০২৩
চাঁদপুরের মতলব উত্তরে বাগানবাড়ি ইউনিয়নে নয়াকান্দি গ্রামে ভাঙা ব্রিজে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল, যে কোন মুহুর্তে আকস্মিক দূর্ঘটনার আশংকা।
মতলব উত্তর উপজেলার বাগানবাড়ি ইউনিয়নের উত্তরদিক দিয়ে প্রবেশ মুখে নয়াকান্দি একটি ব্রিজ মাঝ দিয়ে ভেঙে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন চালকরা। সরজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায়, ব্রিজটির মাঝখানে ভেঙে গেলেও নিত্য প্রয়োজনে প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে এই ব্রিজ দিয়ে চলাচল করছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রীরা।
সূত্রে জানা যায় , ইউনিয়নে উত্তর দিক দিয়ে প্রবেশ পথ হিসাবে একমাত্র ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও গাড়ি চালকরা। বড় যানবাহন থেকে মালামাল নামিয়ে আবার অন্য পাশে গিয়ে চরম দুর্ভোগ শেষ করে মালামাল পরিবহন করছেন স্থানীয় চালকরা।
জানা যায়, ব্রিজ ভেঙে যাওয়ায় আগে যে পরিমাণ যানবাহন এই সড়কে চলাচল করতো এখন ব্রিজ ভাঙা থাকায় যানবাহনের পরিমাণ কমে গেছে আর যানবাহনের সংখ্যা কমে যাওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের ভোগান্তি বেড়েছে দ্বিগুণ।
স্থানীয় বাসিন্দা নজরুল রকিব বলেন,এটি মতলব উত্তর উপজেলার বাগানবাড়ি ইউনিয়ন এ উত্তর দিক থেকে আসার প্রবেশ মুখ এর ব্রীজ। ইউনিয়নের উত্তর দিক হতে আসতে হলে এই ব্রীজটি পার হতে হয়।ব্রীজটি অনেক বছর আগে করা হলেও সংস্কার বা নতুন করে করার কোন চিন্তা নাই কর্তৃপক্ষের। জরাজীর্ণ ও গর্ত হয়ে আছে।সাইড রেলিং অনেক বছর ধরে ভেঙে আছে।এ যেন একটি মরন ফাঁদে পরিনত হয়েছে।এখানে অনেক দূর্ঘটনার খবরও পাওয়া যাচ্ছে। অনেক ছাত্র - ছাত্রী ও অসুস্থ রোগীসহ সর্ব সাধারণ এ পথে চলাচল করে।ফলে তাদের দারুণ অসুবিধায় পরতে হচ্ছে। আশেপাশে অনেক অপ্রয়োজনীয় জায়গায় ব্রীজ করতে দেখা যাচ্ছে।আবার একই গ্রামে আট দশটি ব্রীজও দেখছি। কিন্তু এরকম ব্যস্ততম রাস্তায় এই ব্রীজের বেহাল দশা মেনে নেওয়া যায় না।এর আগে অনেকবার স্থানীয় যুবকদের দ্বারা মেরামত করা হয়।কিন্তু তা বেশিদিন টেকসই করে না।এমতাবস্থায় উপজেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি আশু ব্যবস্থার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করতে তাদের সুমর্জি কামনা করছি।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.