|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
নান্দাইল ঝলা বিলে হাইত উৎসব অনুষ্ঠিত
প্রকাশের তারিখঃ ২৭ অক্টোবর, ২০২৩
তখনও ভোরের আলো ফোটেনি। কারও হাতে পলো, কারও হাতে জাল। আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ঝলা বিলের ধারে জড়ো হন শতশত মানুষ। ভোরে হৈহুল্লোড় করে তারা হাইত উৎসবে মেতে ওঠেন। ২৭ অক্টোবর শুক্রবার ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চন্ডিপাশা ইউনিয়নে চর ঝলা বিলে হয় মাছ ধরার এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
অনেক বছর আগে থেকেই খালবিল ও জলাশয়ে ভরা ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকায় যখন পানি কমতে থাকে তখন থেকেই শুরু হয় ‘হাইত’ (মাছধরার) উৎসব । তবে দখল-দূষণে প্রাকৃতিক জলাশয়ে মাছ কমে যাওয়ায় এ উৎসবেও ভাটা পড়েছে। প্রতি বছরের ন্যায় ঝলা বিলে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। উৎসবে নানা বয়সী মানুষের সঙ্গে শিশুদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। অনেকেই জীবনে প্রথমবারের মতো জাল নিয়ে মাছ ধরতে নেমেছেন। মাছ ধরার উৎসবের খবর আগেই মাইকিং করা হয় বিভিন্ন হাটবাজারে ।
গত ০৭ অক্টোবরের বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় আশপাশের বিভিন্ন পুকুর থেকে বিলে ভেসে আসে মাছ। এতে স্থানীয়রা বিলে হাইত উৎসব করার পরিকল্পনা নেন। হাইত উৎসবে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় বোয়াল, রুই, কাতলা, শোলসহ বিভিন্ন দেশি প্রজাতির মাছ ধরা পড়ে। মাছ ধরতে আমা কুলধুরুয়া গ্রামের লুৎফর রহমান বলেন, এখন আর আগের মতো বিলে মাছ পাওয়া যায় না। কয়দিন আগে বৃষ্টিতে দীঘি থেকে যে পরিমানে মাছ বাইর অইছিন হেইতা মাছ ধান পঁচা আর জারমুনি পঁচায় মরে গেছে। আর পানি আরো কমলে হাইত বাওনের মাইাকিং করানির দরকার আছিন।
উত্তর চন্ডিপাশা গ্রামের মোঃ সালাম বলেন, তাই হাইত আগের মতো জমেও না। তবু হাইত আয়োজনের খবর পেলে দূর-দূরান্ত থেকে দলে দলে মাছ শিকারিরা সারা রাত ভরে বিলপাড়ে জড়ো হয়। যারা মাছ পাইছে তারা তো খুশি, আর যারা পাইনি তাদের মধ্যে ও অনন্দের কমতি ছিলো না।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.