|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
নওগাঁয় কনিকা রানীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে প্রায় ৩ বছর ধরে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে থাকত
প্রকাশের তারিখঃ ২৭ অক্টোবর, ২০২৩
নওগাঁর বদলগাছীতে হিন্দু মুসলিম ছেলেমেয়ের প্রেমের সম্পর্ক মেয়ে এখন বিয়ের দাবীতে ছেলের বাড়ীতে অবস্হান করছে।জানাযায় গাইবান্ধা জেলার সুন্দরপুর উপজেলার গোপাল চরণ গ্রামের বিপুল চন্দ্র শীল এর কন্যা কনিকা রানী(৩৫) এর সংগে বদলগাছী উপজেলার কোলা ইউপির ভোলার পালশা গ্রামের আজির উদ্দিন এর ছেলে মোমিন হোসেন একই সাথে চাকুরী করতো। এর এক পর্যায়ে কনিকা রানীকে বিয়ের পলোভন দিয়ে প্রায় ৩বছর স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে ভাড়া বাসায় বসবাস করতো। গত ১লা অক্টোবর মাসে মোমিন তার গ্রামের বাড়ীতে চলে আসে। কনিকা রানী গত ২৪ অক্টোবর মোমিনের খোঁজে তার বাড়ীতে চলে আসে।
সরেজমিনে কনিকার জানান তিনি ও মোমিন দুইজন ঢাকা টংগী বিসিক লেকসাস লেডিস কোম্পানিতে চাকুরী করে। সেই সুবাদে একই বাসায় বসবাস করতেন। বিয়ে না করে বিবাহিত বলে অবৈধ ভাবে মেলামেসা করতো তিন বছর ধরে। এব্যপারে কনিকা বলেন বিয়ের কথা বারবার বলার পর বিয়ে না করে তালবাহানা করতো মোমিন।
তিনি বলেন আমি হিন্দু পরিবার ছেড়ে চলে এসেছি বিয়ে না হলে আমাকে আত্মাহত্যা করা ছাড়া কোন উপায় নেই। কনিকা রানী প্রথমে কোলা ইউপিতে এসে চেয়ারম্যানএর সাথে কথা বলার পর ভোলার পালসা ছেলের বাড়ীতে অবস্থান করছে। এসময় মোমনি সহ তার বাড়ীর লোকজন বাড়ীতে তালা চাবি দিয়ে বাহিরে পালিয়ে আছেন। এবিষয়ে কোলা ইউপি চেয়ারম্যান সাহিনুর ইসলাম স্বপন বলেন আমার কাছে মেয়েটি এসেছিলো। আমি মোমিন ও তার পরিবারকে ডেকে পাঠালে তারা না আসায় মোমিনের বাড়ীতে কনিকা রানীকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে সে এখন সেখানে অবস্থান করছে।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.