|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
ভিডিএন চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম গ্রেপ্তার
প্রকাশের তারিখঃ ১৮ অক্টোবর, ২০২৩
মৌলভীবাজারের বড়লেখাসহ সিলেটের বিভিন্ন উপজেলার গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে প্রায় ৬ বছর ধরে উধাও ভিলেজ ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্ক (ভিডিএন) নামক বেসরকারি সংস্থার চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম (৫০) ও তার স্ত্রী আছমা বেগম (৪৫)-কে গ্রেপ্তার করেছে বড়লেখা থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) ভোরে সিলেটের শাহপরান থানার মেজরটিলা নুরপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে কারাগারে পাঠিয়েছে বড়লেখা থানা পুলিশ। আব্দুল হাকিম বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের পশ্চিম হাতলিয়া গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে।
পুলিশ জানিয়েছে, আব্দুল হাকিম বড়লেখা থানার চেক জালিয়াতিসহ ১০টি মামলার সাজা পরোয়ানাসহ মোট ১৩টি মামলার পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামী। তার স্ত্রী আছমা বেগমের বিরুদ্ধে দুটি মামলার সাজা পরোয়ানা রয়েছে। আদালতের রায়ের পর থেকে তারা পলাতক ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার মো. মনজুর রহমান পিপিএম বার এর দিক নির্দেশনায় বড়লেখা থানার এএসআই মো.আবু তালেবের নেতৃত্বে একদল পুলিশ বুধবার ভোরে সিলেট শাহপরান থানার মেজরটিলা নুরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে আব্দুল হাকিম ও তার স্ত্রী আছমা বেগমকে গ্রেপ্তার করেন।
জানা গেছে, ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক (ভিডিএন) নামক বেসরকারি সংস্থা ২০০৩ সাল থেকে ২০১৭ সালের প্রথম দিক পর্যন্ত বিভিন্ন প্যাকেজের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছ থেকে আমানত হিসেবে হাতিয়ে নেয় ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকা। সেই আমানতের মেয়াদপূর্তিতে লভ্যাংশসহ গ্রাহকদের ৫০ কোটি টাকারও বেশি পরিশোধের কথা। কিন্তু গ্রাহকদের লাভ দেওয়াতো দুরের কথা, ২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময় মুলধনসহ উধাও হয়ে যান প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম, এমডি আয়াজ আলীসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ ছাপা হলে ভুক্তভোগিরা বিভিন্ন আদালতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
বড়লেখা থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসান বলেন, ১২টি সাজা পরোয়ানাসহ মোট ১৫টি মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামী আব্দুল হাকিম ও তার স্ত্রীকে সিলেট শাহপরান থানার মেজরটিলা নুরপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা দীর্ঘদিন আত্মগোপন করেছিল। বুধবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.