|| ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
আজ নৃত্যশিল্পী নাইমুজ ইনাম নাইম জন্মদিন
প্রকাশের তারিখঃ ১৪ অক্টোবর, ২০২৩
নাইমুজ ইনাম নাইম বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের নৃত্য শিল্পীদের মধ্যে অন্যতম একজন নৃত্যশিল্পী । তরুণ প্রজন্মের নৃত্যশিল্পীদের মধ্যে জায়গায় করে নিয়েছেন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি'তে। কর্তব্যরত আছেন নবম গ্রেড এর কর্মকর্তা নৃত্যশিল্পী (গ্রেড -৩)হিসেবে প্রযোজনা বিভাগে।
আজ এই গুনি শিল্পীর ২৭তম জন্মদিন ।নৃত্যশিল্পী নাইম নড়াইল জেলার আলাদাতপুর গ্রামে ১৫ ই অক্টোবর ১৯৯৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন। পরিবারের একমাত্র সন্তান তিনি।তার মা ইসমত আরা রাজনৈতিক ভাবে জড়িয়ে আছেন নড়াইল জেলার সাথে বর্তমানে তিনি নড়াইল সদর উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান এবং জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ নড়াইল এ সাধারণ সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করছেন।তিনি রাজনৈতিক ও কর্মজীবনের পাশাপাশি তার একমাত্র সন্তান নাইম-কে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। নৃত্যশিল্পী নাইম এর নাচের হাতে খড়ি দিয়েছেন ভারতের প্রশিক্ষক শ্রী গোপাল চন্দ্র কুন্ডু।
নাচ নিয়ে অনেক বড় বড় প্রাপ্তি আছে এই শিল্পীর "ইন্টারন্যাশনাল কান্ট্রি কনসেপ্ট নোট অ্যাওর্য়াড-২০১৭", জাতীয় পর্যায়ে নৃত্য প্রতিযোগিতায় পুরষ্কার, স্বাধীনতা দিবসে গুণীজন সংবর্ধনায় তরুণ নৃত্যশিল্পী হিসাবে সম্মাননা প্রদান, প্রাণ লিমিটেড এর সৌজন্যে তরুণ প্রতিভাবান নৃত্যশিল্পী হিসাবে পুরষ্কার এছাড়াও জেলা প্রশাসক সম্মাননা, নড়াইল নৃত্যকলা পদক, বঙ্গবন্ধু তরুন লেখক পরিষদ সম্মাননা, কবি-সাহিত্যক সম্মাননা, নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) সম্মাননা সহ আরও অসংখ্য পুরষ্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন তিনি। পাশাপাশি নাচ নিয়ে সিঙ্গাপুর.তুরস্ক.ভারত. লন্ডন সহ আরো অনেক দেশে বাংলাদেশ হাইকমিশন এর বিভিন্ন উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি থেকে প্রেরিত দলের সদস্য হিসাবে অংশগ্রহণ করেছেন।
সফরসঙ্গী হয়েছেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি, বিভিন্ন মন্ত্রী এবং সচিব মহোদয় এর সাথে।নাচ নিয়ে স্বপ্ন বা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাংলাদেশে নাচের পরিবেশ বর্তমানে আরও উন্নত হচ্ছে পাশাপাশি দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন নাচ নিয়ে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে যা এক সময় কল্পনা ছিলো সুতরাং সঠিক ভাবে চর্চা করে সুষ্ঠু সংস্কৃতির চর্চা সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, যখন মঞ্চে কাজ করতে পারবো না, তখন মঞ্চের পেছনে কাজ করবো ,ডিরেকশনের কাজ করবো। এটা আমার স্বপ্ন। অনেক বড় বড় প্রোডাকশন করবো বাংলাদেশের সুষ্ঠু সংস্কৃতি ধারায় নৃত্যকে পৌঁছে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন নিয়েই একজন নৃত্যশিল্পী হিসেবে বেঁচে আছি। একদিন সমগ্র বিশ্বের নাচের মানুষ আমাকে এক নামে চিনবে সেই প্রত্যাশা নিয়ে সর্বদা কাজ করে যেতে চাই।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.