|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
নান্দাইলে অতিবৃষ্টিতে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা, কৃষক ও মাছ চাষীদের মাথায় হাত
প্রকাশের তারিখঃ ৭ অক্টোবর, ২০২৩
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা সহ আশপাশ এলাকায় গত ক'দিনের ভারী বর্ষণে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় পরিনত হয়েছে। বন্যার পানিতে পানিতে প্লাবিত হয়েছে উপজেলা সদরের বাসাবাড়ি সহ নিম্ন ভূমি। এতে কৃষকদের ফসলি ধান, পানের বরজ, শীতকালীন সবজি সহ মাছের ফিসারি বন্যার পানিতে তলিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপজেলা আচারগাঁও ইউনিয়নের সিংদই এলাকার কৃষক আমিনুল ইসলাম জানান, আমার সব ক্ষেতে ধানের তৌউর চলে আসছে, এখন সবগুলো ক্ষেতই পানিত নীচে। এই ধানক্ষেতে আর এক মুষ্টি ধানও আর হবে না। শুধু আমিনুল ইসলামের ক্ষেত নয়, এরকম উপজেলার নিম্নাংশের সকল ফসলি ক্ষেত পানিতে তলিয়ে ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। এ ছাড়াও উপজেলার নিম্মাংশের বসতি ঘরবাড়ির ভিতরেও পানি উঠে পড়েছে। এতে বাচ্চাদের নিরাপত্তা সহ গৃহস্থের গরু,হাস, মুরগী, মালামালের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি বাহিত রোগ। রাস্তা-ঘাট পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় অনেক এলাকায় যোগাযোগ ব্যাবস্থা ব্যহত হয়েছে।
এলাকাটি তুলনামূলক ভাবে উঁচু বলে বন্যা হওয়ার সম্ভবনা কম, তাই বন্যা মোকাবিলা করার কোনো প্রস্তুতি না থাকায় বন্যায় কবলিত পরিবারগুলো চতুর্মুখী বিপদের সম্মুখীন হয়েছেন।
বন্যায় ফসলের মাঠ তলিয়ে যাওয়ায় নিঃস্ব হয়ে গেছেন হাজার হাজার কৃষক। সেই সাথে মাছ চাষীদের ফিসারীর সব মাছ ভেসে গেছে বন্যার পানির সাথে। উপজেলার আচারগাঁও ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেনু জানান, নিজের চোখের সামনে ২৫ লক্ষ টাকার মাছ ভেসে গেছে। একই এলাকার বাবুল ফকির, আবুল কাশেম ফকির, নাঈম ভূইয়া সহ উপজেলার এ রকম শত শত মাছ চাষীদের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে আর্তনাদ করতে দেখা গেছে। এলাকার প্রায় সব মাছ চাষের ফিসারি সহ সব পুকুর পানিতে তলিয়ে গেছে। ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে খামারীরাও।
একদিকে ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের আর্তনাদ ও অন্য দিকে সাধারণ মানুষের মাঝে দেখা গেছে মাছ ধরার হিরিক। রাস্তা-ঘাট, বাড়ির উঠান পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ঘর থেকে বের হলেই মাছ ধরতে পারছে যে কেহ। পানি নিষ্কাসনের ব্যবস্থা না থাকায় ভারী বৃষ্টি থেমে গেলেও জলাবদ্ধতার উন্নতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। পানি নিষ্কাসনের খালগুলোতে স্রোত না থাকায় পানি কমছে খুব ধীরো গতিতে।
নান্দাইল প্রেসক্লাবে সভাপতি এনামুল হক বাবুল বলেন, এই বন্যা নান্দাইল বাসীর জন্য স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা। ২০০৪ সালের বন্যাতেও এত পানির ও ক্ষয়ক্ষতি হতে দেখা যায়নি। এই বন্যায় সকল সব ধরনের মানুষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার নিম্ন ভূমি প্লাবিত হওয়ায় অনেক পরিবারের বসতবাড়ি পানিতে তলিয়ে গিয়ে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। আমি নান্দাইল আসনের এমপি আলহাজ্ব আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিন মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, যেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লিষ্ট করে তাদের জন্য অনুদানের ব্যবস্থা করা হয়।নান্দাইলে অতিবৃষ্টিতে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা, কৃষক ও মাছ চাষীদের মাথায় ঙংংন্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিন
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা সহ আশপাশ এলাকায় গত ক'দিনের ভারী বর্ষণে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় পরিনত হয়েছে। বন্যার পানিতে পানিতে প্লাবিত হয়েছে উপজেলা সদরের বাসাবাড়ি সহ নিম্ন ভূমি। এতে কৃষকদের ফসলি ধান, পানের বরজ, শীতকালীন সবজি সহ মাছের ফিসারি বন্যার পানিতে তলিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপজেলা আচারগাঁও ইউনিয়নের সিংদই এলাকার কৃষক আমিনুল ইসলাম জানান, আমার সব ক্ষেতে ধানের তৌউর চলে আসছে, এখন সবগুলো ক্ষেতই পানিত নীচে। এই ধানক্ষেতে আর এক মুষ্টি ধানও আর হবে না। শুধু আমিনুল ইসলামের ক্ষেত নয়, এরকম উপজেলার নিম্নাংশের সকল ফসলি ক্ষেত পানিতে তলিয়ে ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। এ ছাড়াও উপজেলার নিম্মাংশের বসতি ঘরবাড়ির ভিতরেও পানি উঠে পড়েছে। এতে বাচ্চাদের নিরাপত্তা সহ গৃহস্থের গরু,হাস, মুরগী, মালামালের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি বাহিত রোগ। রাস্তা-ঘাট পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় অনেক এলাকায় যোগাযোগ ব্যাবস্থা ব্যহত হয়েছে।
এলাকাটি তুলনামূলক ভাবে উঁচু বলে বন্যা হওয়ার সম্ভবনা কম, তাই বন্যা মোকাবিলা করার কোনো প্রস্তুতি না থাকায় বন্যায় কবলিত পরিবারগুলো চতুর্মুখী বিপদের সম্মুখীন হয়েছেন।
বন্যায় ফসলের মাঠ তলিয়ে যাওয়ায় নিঃস্ব হয়ে গেছেন হাজার হাজার কৃষক। সেই সাথে মাছ চাষীদের ফিসারীর সব মাছ ভেসে গেছে বন্যার পানির সাথে। উপজেলার আচারগাঁও ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেনু জানান, নিজের চোখের সামনে ২৫ লক্ষ টাকার মাছ ভেসে গেছে। একই এলাকার বাবুল ফকির, আবুল কাশেম ফকির, নাঈম ভূইয়া সহ উপজেলার এ রকম শত শত মাছ চাষীদের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে আর্তনাদ করতে দেখা গেছে। এলাকার প্রায় সব মাছ চাষের ফিসারি সহ সব পুকুর পানিতে তলিয়ে গেছে। ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে খামারীরাও।
একদিকে ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের আর্তনাদ ও অন্য দিকে সাধারণ মানুষের মাঝে দেখা গেছে মাছ ধরার হিরিক। রাস্তা-ঘাট, বাড়ির উঠান পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ঘর থেকে বের হলেই মাছ ধরতে পারছে যে কেহ। পানি নিষ্কাসনের ব্যবস্থা না থাকায় ভারী বৃষ্টি থেমে গেলেও জলাবদ্ধতার উন্নতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। পানি নিষ্কাসনের খালগুলোতে স্রোত না থাকায় পানি কমছে খুব ধীরো গতিতে।
নান্দাইল প্রেসক্লাবে সভাপতি এনামুল হক বাবুল বলেন, এই বন্যা নান্দাইল বাসীর জন্য স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা। ২০০৪ সালের বন্যাতেও এত পানির ও ক্ষয়ক্ষতি হতে দেখা যায়নি। এই বন্যায় সকল সব ধরনের মানুষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার নিম্ন ভূমি প্লাবিত হওয়ায় অনেক পরিবারের বসতবাড়ি পানিতে তলিয়ে গিয়ে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। আমি নান্দাইল আসনের এমপি আলহাজ্ব আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিন মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, যেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লিষ্ট করে তাদের জন্য অনুদানের ব্যবস্থা করা হয়।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.