|| ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
দাকোপে উপজেলা পল্লী উন্নয়ন বোর্ড অবহেলিত জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন মূলক কার্যক্রম গ্রহণ
প্রকাশের তারিখঃ ৫ অক্টোবর, ২০২৩
খুলনার দাকোপ উপজেলায় পল্লী উন্নয়ন বোর্ড আইলা কবলিত সুতারখালী ও কামারখোলা ইউনিয়নে অবহেলিত জনগোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়নে বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কার্যক্রম গ্রহণ করছে। ইতোমধ্যে স্কুলে লাইব্রেরী স্হাপন,মসজিদে উন্নয়ন,হতদ্ররিদ্রদের মাঝে পানির ট্যাংকি বিতরনসহ নানা মুখি সহযোগীতা দিয়ে আসছে বোর্ডটি।
এসব সহযোগীতা পেয়ে স্থানীয় জনগণ খুশী হয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানাযায়।
এ বিষয় কথা হয়, দাকোপউপজেলা পল্লী উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তা মোঃরুবাইয়্যাৎ আল আজাদের সাথে। তিনি জানান,অংশীদারিত্বমূলক পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প-৩ ভিডিসি স্কীমের আওতায় দাকোপের কালাবগী সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও সুতারখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লাইব্রেরী প্রতিষ্টা,জয়নগর জামে মসজিদের অজুখানা ও সুতারখালী বাইনপাড়া জামে মসজিদের টয়লেট নির্মাণ,শিবনগর ভিডিসি,ভিটাভাংগা ভিডিসি,সুতারখালী ভিডিসি,দক্ষিন কামারখোলা ভিডিসি, গুনারী পূর্বপাড়া ভিডিসি কালিনগর ও গাজীপাড়া ভিডিসিগ্রামটিতে সুপেয় পানির অভাব থাকায়,বৃষ্টির পানি সংক্ষণের জন্য স্থানীয়দের মাঝে ট্যাংকি বিতরণ করা হয়।শতাধিক পরিবারের মাঝে ১০০০হাজার লিটারের ট্যাংকি সরবরাহ করা হয়।কথা হয় কালাবগী সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিএম শহীদুল্লাহ এর সাথে, তিনি বলেন পল্লী উন্নয়ন বোডের মাধ্যমে স্কুলে লাইব্রেরী স্হাপন হওযায় ছাএ/ছাএীদের অনেক উপকার হয়েছে।এরফলে যুব সমাজ লাইব্রেরী মুখি হচ্ছে।এবং মাদক সেবক অনেকাংশে কমে আসবে বলে তার ধারনা।স্কুলের ছাএ আপন সানা জানান, লাইব্রেরীতে আমরা বিভিন্ন ধরনের বই পড়ে অজানাকে জানতে পারছি।পাশাপাশি সময় কাটানোর পথ সুগম হয়েছে।জযনগর গ্রামের হাফিজুর রহমান জানান,আমাদের জয়নগর জামে মসজিদের কোন অজুখানা ছিলনা।এতে মুসল্রিদের খুব কষ্ট হচ্ছিল।অবশেষে দাকোপ পল্রী উন্নযন বোর্ড অজুখানা নির্মাণ করে দিয়েছে।মুসল্লিরা খুব খুশী।তারা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা ও সকল সদস্যকে প্রানভরে দোযা করেছে। কালাবগী, গুনারী,কালিনগর,শিবনগর ও দক্ষিণ নলিযানের ভিডিসি গ্রামের বাসিন্দারা জানান,পানির ট্যাংকি পাবায় আমাদের অনেক উপকার হয়েছে।তবে তারা ট্যাংকির ধারন ক্ষমতা ২০০০লিটার এবং পর্যাপ্ত সুপেয় পানি ধরে রাখার জন্য পর্যাপ্ত ট্যাংকির আবেদন জানান।এ দুই ইউনিয়নে আইলার পর দূর থেকে পানি কিনে খেয়ে জীবন ধারন করতে হয়।এছাড়া সুপেয় পানির অভাবে প্রতি বছর উদারাময় রোগসহ নানা ধরনের পীড়ায় আক্রান্ত হয় এ দুই ইউনিয়নের বসবাসকারী জনসাধারণ।দাকোপ পল্লী উন্নয়ন অফিসের সেবা এ এলাকার মানুষের কাছে অন্যান্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।দাকোপ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড সার্বক্ষনিক অবহেলিতজনগোষ্ঠীর জন্য কাজ করে যচ্ছে।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.