|| ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
সিটি সার্ভিস চালু করতে প্রস্তুতি নিয়েছে রংপুর মহানগর পুলিশ
প্রকাশের তারিখঃ ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
সিটি সার্ভিস চালু করতে প্রস্তুতি নিয়েছে রংপুর মহানগর পুলিশ
রংপুর নগরের তিনটি রুটে ‘সিটি সার্ভিস’ চালু হতে যাচ্ছে। আগামী অক্টোবরের মাঝাঝিতে সিটি সার্ভিস চালু করতে প্রস্তুতি নিয়েছে রংপুর মহানগর পুলিশ (আরপিএমপি)। এজন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে রুট, স্টপেজ, রাস্তা প্রসস্থ ও সংস্কার করার বিষয়ে পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদক পেশ করবেন। একই সঙ্গে সিটি সার্ভিস চালুর সিদ্ধান্তের বিষয়ে মটর মালিক সমিতি ও চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিগণ আশ্বস্ত করেছেন।
আজ সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন কমিটির অনুষ্ঠিত সভায় পুলিশ কমিশনার মোঃ মনিরুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। রংপুর মহানগরে যানজট নিরসন ও যাত্রী-পণ্য পরিবহন নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে এই সভার আয়োজন করা হয়।
নগরের কামারপাড়া ঢাকা কোচ স্ট্যান্ড এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ বক্স নির্মাণের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে পুলিশ কমিশনার মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, রংপুর মহানগরে চলাচলরত ৯০ ভাগ গাড়ি এক ধরনের রেজিস্ট্রেশনকৃত হলেও তা অন্যভাবে চালায়। অ্যাম্বুলেন্সের লাইসেন্স করা গাড়ি প্রাইভেট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এ ধরনের পরিবহনের ক্ষেত্রে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এখন আমরা ধীরে চলানীতি অবলম্বন করলেও অব্যাহত নিয়ন্ত্রণে না আসলে কঠোর নীতি অবলম্বন করা হবে। সরকার এবং আমাদের উদ্দেশ্য একটাই, সবকিছুকে একটা সিস্টেমে নিয়ে আসা।
আরপিএমপি কমিশনার বলেন, নগরের যানজট নিরসনে রাস্তার পাশে বিল্ডিং এর অনুমোদনের ক্ষেত্রে ট্রাফিক পুলিশের অনুমতি গ্রহণ এবং রাস্তার দুই পাশে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণ ফাঁকা জায়গা নিশ্চিত করা জরুরি। আমরা ট্রাফিক যানজট নিরসনে ইজিবাইক লেন/লাইন নির্দিষ্টকরণসহ সেগুলোকে কালার কোড ব্যবহারের মাধ্যমে, রেজিস্ট্রেশনকৃত গাড়িসমূহ চলাচল করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইতোমধ্যে সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে নগরের তিনটি পয়েন্টে পরীক্ষামূলকভাবে ডিজিটাল ট্রাফিক সিগন্যাল সিস্টেম চালু করা হয়েছে। আগামীতে সিটি কর্পোরেশনের সহায়তায় পুরো নগরে ডিজিটাল ট্রাফিক সিগন্যাল সিস্টেম চালু করা হবে।
তিনি আরও বলেন, যানজটমুক্ত নগরী, ফুটপাত দখল করে রাখা হকারদের অবৈধ দোকান,পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে অপরিকল্পিত ডাস্টবিন উচ্ছেদসহ আইনের আওতায় অবৈধ অটোরিকশাগুলো থেকে রাস্তা দখলমুক্ত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। রংপুরে প্রায় ৩৫ হাজার অটোরিকশা রাস্তা দখল করে রেখেছে কিন্তু নিবন্ধিত রয়েছে ১১ হাজার। বর্তমান যানজটের যে চিত্র এটি নিরসনে রুট ভাগ করে দেয়া, অটোরিকশার বডি রং সিলেক্ট করে দেয়া, অটোরিকশার পার্কিং পয়েন্ট ভাগ করে দেয়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব হলে সুন্দর নগরী গড়ে উঠবে।
মনিরুজ্জামান বলেন, সরকারের নীতি বাস্তবায়ন করাই আমাদের কাজ। এজন্য জনগণকে সরকার নির্ধারিত আইন ও বিধিনিষেধ মেনে-বুঝে সে অনুযায়ী চলতে হবে। মহানগর এলাকায় ফিটনেস বিহীনগাড়ি, লাইসেন্স, রেজিস্ট্রেশন, রুট পারমিট ব্যাতিত চলাচল করতে পারবে না। ট্রাফিক আইন মেনে চলতে আমরা সকলকে আহ্বান করছি। আমরা সচেতনতা সৃষ্টি করতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।
আরপিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মেনহাজুল আলমের সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন মিঞা, সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজেদুর রহমান, এ্লজিইডি রংপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহজাহান আলী, জেলা পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী, রংপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির রেজাউল ইসলাম, মেট্রোপলিটন চেম্বারের ভাইস প্রেসিডেন্ট আতিক উল্লাহ, রংপুর জেলা মটর মালিক সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতিএকে চৌধুরী ওরফে ক্যাপ্টেন, রংপুর ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি আশরাফ আলী প্রমুখ।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.