|| ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
এম পি মহাদয়ের ঘড়িয়ালডাঙ্গার বুড়িরহাট স্পার বাদ পরিদর্শন
প্রকাশের তারিখঃ ২৭ আগস্ট, ২০২৩
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে তিস্তা নদীর প্রবল পানির স্রোতে তলিয়ে গেছে আর সিসি অংশের ৩০ মিটার স্পার বাধ। রোববার ২৭ আগস্ট সকালে কনক্রিটের আরসিসি স্পারটি তলিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন। গত শনিবার ২৬ আগস্ট রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিস্তা নদীর অংশের ওই স্পারটিতে এ ঘটনা ঘটে আরো বলেন উজান থেকে নেমে আসা পানির তীব্র স্রোতের আঘাতে স্পারটির মাথার অংশে ৩০ মিটার দেবে গেছে। বাকি ৩০ মিটার রক্ষায় বালু ভর্তি জিওব্যাগ ফেলানোর কাজ চলছে।
মাননিয় সংসদ সদস্য-২৬, কুড়িগ্রাম-২, আসনের এমপি আলহাজ্ব পনির উদ্দিন আহম্মেদ রোববার ২৭ আগস্ট দুপুর ১২ঃ৩০ ঘটিকায় ক্ষতিগ্রস্ত স্পারটি পরিদর্শনে এসে বলেন- গতকাল রাতে স্থানীয় সূত্রে জানতে পেরে জেলা প্রশাসক ও কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের সকল কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রদানসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেক নেয়া এবং স্পারটির বাকী অংশ যাতে কোন রকমে ক্ষতি না হয় সেদিকে দৃষ্টি দিয়ে কাজ করতে বলেছেন এবং বাঁধ ও আরসিসি স্পারের বাকি ৩০ মিটার রক্ষায় রাত দিন কাজ চলমান থাকবে বলে নির্দেশ প্রদান করেছেন।
১৯৯৫ সালে নির্মিত আরসিসি স্পারটির দৈর্ঘ্য ৬০ মিটার। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে গত শুক্রবার থেকে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবল স্রোতে প্রবাহিত হচ্ছে।
এতে করে রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের বুড়িরহাট এলাকাসহ তিস্তার বাম তীরে নদী শাসনের জন্য নির্মিত ১৫০ মিটার মাটির বাঁধের মাথায় ৩০মিটার করে দুই অংশে ৬০ মিটার আরসিসি স্পারের ওপর পানির প্রবল চাপ পড়ে। পানি তীব্র চাপ অব্যাহত থাকায় প্রথমে মাথার অংশে ৩০মিটার স্পার হেলে যায়। পরে রাত সাড়ে ৮ টার দিকে পানিতে তলিয়ে যায়। স্পারটি তলিয়ে যাওয়ায় ভাঙনের হুমকিতে পড়েছে বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের গাবুর হেলান, ডাংরা, কালির মেলা ও ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের গতিয়াশাম, খিতাবখাঁ, বুড়িরহাটসহ কয়েকটি গ্রামের ঘরবাড়ি মসজিদ ও প্রাথমিক বিদ্যালয়। স্থানীয়রা জানান, স্পার ও বাঁধের বাকি অংশ রক্ষা করা না গেলে ভাঙ্গনের কবলে পড়বে এসব গ্রামের ঘর-বাড়িসহ নানা স্থাপনা। বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের রামহরি এলাকার বাবু মিয়া বলেন, স্পারটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে রাতে দুঃশ্চিন্তায় ঘুমাতে পারিনি আমরা। দ্রুত এটি মেরামত করা না হলে এই এলাকাটি আর থাকবে না। তিস্তার ভাঙনে বিলীন হয়ে যাবে।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.