|| ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
নারীদের আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী ও নতুন নারী উদ্যোক্তা তৈরি করে চাঁদপুরে নারী উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখায় শ্রেষ্ঠ নারী সংগঠন সম্মাননা পেলেন নারী উন্নয়ন সংস্থা - বিজয়ী।
চাঁদপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে দৈনিক একাত্তর কন্ঠ ও একাত্তর ফাউন্ডেশন ইউএসএ কতৃক এক সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে এ সন্মাননা ক্রেস্ট গ্রহন করেন বিজয়ী এর ফাউন্ডার তানিয়া ইশতিয়াক খানসহ সংগঠনের অর্ধশত কর্মকর্তা। সম্মাননা তুলে দেন গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি এমপি।
একাত্তর কন্ঠ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও প্রকাশক
কাজী মুহাম্মদ জিয়াউর রহমান বেলাল এর সভাপতিত্বে এবং অজয় কুমার ভৌমিক এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন মোঃ নূরুল আমিন, চেয়ারম্যান বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন, আক্তার হোসন সিনিয়র সচিব (অব:) এসডিজি বিষয়ক সমন্বয়ক,প্রধানমন্ত্রী দপ্তর, কামরুল হাসান জেলা প্রশাসক চাঁদপুর জেলা,সাইফুল ইসলাম পুলিশ সুপার চাঁদপুর জেলা, মোঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল মেয়র চাঁদপুর পৌরসভা, ডাঃ সৈয়দা বদরুন নাহার স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা, এডভোকেট জাহিদুল ইসলাম রোমন চেয়ারম্যান উপজেলা পরিষদ ফরিদগঞ্জ।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকারের আমলে যা উন্নয়ন হচ্ছে, তার সুফল সবাই পাচ্ছি। কিন্তু আগে যারা ক্ষমতায় ছিল, সবাই অশিক্ষিত ও অদক্ষ। তারা শুধু নিজেদের উন্নয়ন করেছে। মানুষের হক মেরে খেয়েছে। তাই দেশকে এগিয়ে নিতে এই সরকারকেই ভোট দিতে হবে।’
এর আগে শিক্ষামন্ত্রী ফিতা ও কেক কেটে চাঁদপুরে এই প্রথম আধুনিক চিকিৎসাসেবা সম্পন্ন ফেমাস স্পেশালাইজড হাসপাতাল অ্যান্ড ট্রমা সেন্টারের উদ্বোধন করেন।
সম্মাননা পেয়ে বিজয়ীর ফাউন্ডার তানিয়া ইসতিয়াক খান সৃষ্টি কর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ধন্যবাদ এটি আমাদের জন্য অনেক গর্বের ও সম্মানের, এই সম্মাননা শুধু আমার নয়, বিজয়ী এর সকল সদস্যদের । এমন পুরস্কার অর্জনে আমরা সত্যিই অনেক আনন্দিত।
আমি একাত্তর ফাউন্ডেশন ইউএসএ ও দৈনিক একাত্তর কন্ঠ পরিবারসহ আয়োজকদেরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এবং অনুরোধ করছি আপনাদের এই সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানটি প্রতি বছর দেশের নারীদের কে সম্মানিত করে তাদের পথ চলাকে আরও গতিশীল করে দিবেন। শুধু মাত্র নারী উদ্যোক্তা নয় পাশাপাশি ছেলে উদ্যোক্তাদেরকেও সম্মাননা দিয়ে উৎসাহিত করবেন।
উন্নত বাংলাদেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে একজন নারী শুধু গৃহিণী নয়,কারো মা নয়, কারো মেয়ে নয়, কারো বোন নয়,কারো স্ত্রী নয় বরং নিজের সাহসী চেষ্টায় একজন সফল উদ্যোক্তা হয়ে নিজের ও অন্যের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।
তানিয়া খান আরও বলেন ২০২০ সালের প্রতিষ্ঠিত বিজয়ী আজ বিজয়ের পথে, আলহামদুলিল্লাহ চাঁদপুরে উদ্যোমী নারী উদ্যোক্তাগন আজ আমরা সবাই একই কাতারে একই পতাকা তলে বিজয়ীতে। শুরু থেকে নানা রকম প্রতিকূলতা পাড়ি দিয়েছি। ইনশাআল্লাহ আমরাই বিজয়ী হয়ে চাঁদপুরের নারীদের বেকারত্ব দূর করে আত্মনির্ভরশীল করে স্মাট বাংলাদেশ গড়ায় অংশীদার হবো।
উক্ত অনুষ্ঠানে একাত্তর ফাউন্ডেশন ও দৈনিক একাত্তর কন্ঠ পরিবারের উদ্যোগে অসহায়দের মাঝে ঘর বিতরন, সেলাই মেশিন বিতরন, সাংবাদিকতায় বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সম্পাদক এবং সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন সংগঠনকে সম্মাননা প্রদান করেন।
বিজয়ী নারী উন্নয়ন সংস্থা এর পক্ষ থেকে
সম্মাননা গ্রহন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নাসরিন আক্তার নওশিন, রাবেয়া আক্তার রাবু, তাহমিনা মীম, সামিয়া রহমান, রিংকি হাওলাদার, সীমা খান, আমাতুল্লাহ সুমাইয়া, পুষ্পিতা পুষ্প, উম্মে তাসলিম, সাদিয়া সুলতানা, মেহজাবিন ঝুমুর, আসফিয়া জাহান, ইসরাত জুই, জান্নাত আক্তার লিলি,ফাতেমা আক্তার, সুলতানা পিংকি শিকদার,
ফেরদৌসী আক্তার মনি, শারমিন আক্তার রূপা, অনুরাধা দাস, শান্তা ইসলাম, আলেয়া আরহি মিরা, দিলরুবা ইসলাম মিম, জান্নাতুল মরিয়ম জিদনী, ফাতেমা আক্তার শিল্পী, শাহনাজ আক্তার মুন্নি, ফাতেমা আক্তার, তানিয়া আক্তার, ফাতেমা আক্তার রিতা, সুমাইয়া মুসকান, সুমাইয়া ইসলাম সরনা, আলিশা মুন্নি, উম্মে রাজিয়া ইসলাম, সুমাইয়া খান, পূজা রানী দাস,আফরোজা আক্তার, সানজানা আক্তার, তানজিলা আক্তার, রিউ দে, সামিয়া আক্তার, তানহা আক্তার, খাদিজা আক্তার, তাছলিমা রহমান, স্রাবন্তি দাস, রিয়া আক্তার , মাহমুদা আক্তার, আয়েশা রহমান, প্রিয়া সাহা, তাহমিনা আক্তার, সামিয়া প্রিয়সী, কাশফি, নিহা খন্দকার, রোকসানা আক্তার মিম, ফাতেমা তুজ বৃষ্টি, তাছলিমা মুক্তার, মরিয়ম আক্তার, মুক্তা, তিশা আক্তার, আরবী আক্তার, বৈশাখী আক্তার, মিনা আক্তার, পাপিয়া আক্তার, নাজমা আক্তার, জেছমিন আক্তার, পিংকি আক্তার, উম্মে হানী, ফেরদৌসী আক্তার মনি, মুক্তা রহমান,
ফারজানা আক্তার।