|| ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
রাজারহাটে এস এস সির ফলাফল ভালো না হওয়ায় অভিভাবক ও এলাকাবাসীর ক্ষোভ।
প্রকাশের তারিখঃ ২৮ জুলাই, ২০২৩
আজ ২৮শে জুলাই/২৩ শুক্রবার দুপুরে এসএসসির ফল প্রকাশিত হয়েছে। কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের ডাংরারহাট দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ফলাফলে ওই স্কুলের অভিভাবক ও স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। রেজাল্ট সিট স্কুলের ওয়ালে টাঙিয়ে দিলে রেজাল্ট দেখে ওই স্কুলের অভিভাবক ও স্থানীয় মান্যগণ্য ব্যক্তিরা হতবাক হয়ে যান। এবছর এসএসসি পরীক্ষায় মোট ৩৪ জন ছাত্রছাত্রী পরিক্ষায় অংশ নেন। এর মধ্যে মানবিক বিভাগে ১৮জন ও বিজ্ঞান বিভাগে ১৬জন। মানবিক বিভাগে ৪ জন এবং বিজ্ঞান বিভাগে ৭জন সহ মোট ১১জন ছাত্রছাত্রী কৃতকার্য হন। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ ৩.৭২ সর্বচ্চ ও মানবিক বিভাগে একজন সর্বচ্চ জিপিএ ৪.০০ গ্রেড প্রাপ্ত হন। রেজাল্টের এহেন অবস্থার জন্য স্থানীয়রা অভিযোগ তুলেন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সেকেন্দার আলীর প্রতি। স্থানীয়দের মধ্যে নাম না প্রকাশ করার শর্তে একজন বলেন,ওই স্কুলে যেদিন থেকে সেকেন্দার আলী প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নিয়েছেন সেদিন থেকে ওই স্কুলের পড়াশোনা মান ক্রমাগতভাবে নিম্ন থেকে নিম্নমানের হয়েছে। নিয়োগ বাণিজ্য আর নিজ মামা ও মামাতো ভাইদের দিয়ে ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়েই ব্যস্ত ছিলো।ইতিমধ্যে নিয়োগ বাণিজ্য করে হাতিয়ে নিয়েছেন কয়েক লক্ষ টাকা। আবারও নিয়োগ বাণিজ্য করতে এলাকার বাইরের একজন প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতার স্ত্রীকে করেছেন ওই স্কুলের সভাপতি। ওই ব্যক্তি আক্ষেপ করে বলেন প্রধান শিক্ষক সেকেন্দার আলী নিয়োগ বাণিজ্য নিয়ে এতটা ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন যে শিক্ষার মান উন্নয়নে তার কোন হুশেই ছিলো না।এভাবে এই স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রম চলতে থাকলে এই এলাকার ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার ছাড়া আর কিছু ভাবা যায় না।হয়তো একদিন স্কুলের ভবন থাকবে কিন্তু কোন ছাত্রছাত্রী থাকবে না।
ওই স্কুলের অভিভাবক আবুল কালাম বলেন এই স্কুলে বাচ্চা কে পাঠিয়ে ভুল করেছি। আজ তার খেসারত দিতে হচ্ছে। স্থানীয় ব্যক্তি কামরুজ্জামান বলেন স্কুল্টা শেষ করে দিলো এই অকৃতজ্ঞ প্রধান শিক্ষক। সব সময়ে শুধু স্কুলে রাজনীতি আর রাজনীতি।আবারও নিয়োগ বাণিজ্য করতে এলাকার কাউকে যোগ্য মনে না করে আওয়ামীলীগের একজন প্রভাবশালী নেতার বউকে সভাপতি করেছেন। ওই নেতার ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পর্যন্ত পান না। ওই স্কুলের বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সদস্য শরিফুল কাসাই (মাংস ব্যবসায়ী)বলেন স্কুলের দ্বিতল ভবনের নির্মাণ কাজ চলায় নিয়মিত ক্লাস নিতে বিঘ্ন ঘটে তাছাড়া আমাদের স্কুলের কয়েকজন শিক্ষকের পদ শুন্য আছে। তবে স্কুলের দ্বিতল ভবনের কাজ কোন ফান্ড থেকে করা হচ্ছে তা জানাননি।
এই বিষয়ে প্রধান শিক্ষক সেকেন্দার আলী মুটোফোনে রেজাল্টের বিষয় জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় জানার পর ফোন কেটে দেন। পরে তাকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি আর রিসিভ করেননি।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.