|| ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিন আজ
প্রকাশের তারিখঃ ২৭ জুলাই, ২০২৩
বরাবরের মতো এবারও তার জন্মদিন উপলক্ষে কোনো আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি নেই। তবে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে ঘরোয়া পরিবেশে তার জন্মদিনের কেক কাটা হবে বলে জানা গেছে। এ অনুষ্ঠানে মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পরিবারের অন্য সদস্যরা থাকবেন। জয়ও এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করায় উপস্থিত হতে পারবেন না। বরাবরের মতোই তার মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানাবেন।
ডিজিটাল বাংলাদেশের নেপথ্য নায়ক, তথ্য প্রযুক্তিবিদ এবং তরুণ রাজনীতিবিদ সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মদিন আজ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই রাজধানী ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর জয়ের নাম রাখেন তার নানা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রয়াত পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার প্রথম সন্তান।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার সময় মা ও বাবার সঙ্গে জার্মানিতে ছিলেন জয়। পরে বাবা-মায়ের সঙ্গে রাজনৈতিক আশ্রয়ে ভারতে চলে যান তিনি। তার শৈশব ও কৈশোর কাটে ভারতে।
সেখানকার নৈনিতালের সেন্ট জোসেফ কলেজে লেখাপড়ার পর ব্যাঙ্গালোরে কিছুদিন শিক্ষাজীবন কাটিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটন থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক করেন তিনি।
পরে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোকপ্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০২ সালের ২৬ অক্টোবর ক্রিস্টিন ওভারমায়ারকে বিয়ে করেন সজীব ওয়াজেদ জয়। সোফিয়া ওয়াজেদ নামে তাদের একটি মেয়ে আছে।
২০১০ সালে সক্রিয় রাজনীতিতে নাম লেখান জয়। ওই বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিতৃভূমি রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদ দেয়া হয় তাকে, যার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে আসেন তিনি। বর্তমানে মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্বে আছেন।
২০০৭ সালে জয় ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম কর্তৃক গ্লোবাল লিডার অব দ্য ওয়ার্ল্ড হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০০৮ এবং ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে মায়ের নির্বাচনি এলাকার পাশাপাশি সারা দেশে নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নিয়ে সাড়া ফেলে দেন তরুণ রাজনীতিবিদ জয়। দেশের মানুষ তাকে ভবিষ্যত রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে বিবেচনা করে আসছে।
জয় ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার বিষয়টি নিয়ে আসেন। পর্দার অন্তরালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে থেকে গোটা দেশে তথ্যপ্রযুক্তির বিপ্লব ঘটান এই তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ।
বর্তমানে দলীয় ঘরানা ছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তি, রাজনীতি, সামাজিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষাবিষয়ক বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ, তরুণ উদ্যোক্তা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন জয়।
সজীব ওয়াজেদ জয় বাংলাদেশের রাজনীতি ও সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে তার ফেসবুক পাতায় নিয়মিতই মতামত ব্যক্ত করে থাকেন। দেশের আইসিটি খাত সংশ্লিষ্টদের মতে, শিক্ষাগত যোগ্যতা আর পেশাগত কাজের অভিজ্ঞতা-এই দুয়ের মিশেলেই দেশের আইসিটি খাতের এমন তড়িৎ উন্নতিতে সফল নেতৃত্ব দিতে পেরেছেন সজীব ওয়াজেদ জয়।
বলা হয়ে থাকে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালে বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় জাতির পিতার দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠান। মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠানোর উদ্যোগে শুরু থেকেই এর নেপথ্যে কাজ করেন বঙ্গবন্ধুর এ দৌহিত্র।
তবে জীবন আড়ম্ভরপূর্ণ এবং কর্মূখর হলেও নিরবে অনাড়ম্ভরভাবে জন্মদিন পালন করেন জয়। দেশে থাকলে মায়ের সান্নিধ্যে কাটান সারাদিন। আর যুক্তরাষ্ট্রে থাকলে পান মায়ের শুভেচ্ছাসিক্ত ফোন।
বরাবরের মতো এবারও তার জন্মদিন উপলক্ষে কোনো আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি নেই। তবে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে ঘরোয়া পরিবেশে তার জন্মদিনের কেক কাটা হবে বলে জানা গেছে। এ অনুষ্ঠানে মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পরিবারের অন্য সদস্যরা থাকবেন। জয়ও এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করায় উপস্থিত হতে পারবেন না। বরাবরের মতোই তার মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানাবেন।
এদিকে তার জন্মদিন উপলক্ষে স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে কেক কাটা ও তার সু-স্বাস্থ্য কামনায় দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়াও জয়ের জন্মদিনে দেশব্যাপী মসজিদে মসজিদে দোয়া ও মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ অন্যান্য উপাসনালয়ে প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.