সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে চাঁদপুরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে চাঁদপুর অনলাইন প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা। সোমবার (১৯শে জুন) সকাল ১১ টায় চাঁদপুর জেলা অনলাইন প্রেসক্লাবের এর ব্যনারে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানবন্ধনে চাঁদপুর অনলাইন প্রেসক্লাবের সদস্য গিয়াস উদ্দিন রানার সঞ্চালনায় সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ শেখ মহসিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুর অনলাইন প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক আশিক খান, ফরিদগঞ্জ অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি মুমিনুল ইসলাম,মতলব দক্ষিন অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম প্রধান ,
কচুয়া অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি ইমাম হোসেন , সিনিয়র সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম, চাঁদপুর অনলাইন প্রেসক্লাবের সদস্য আরিফ হোসেন, আলমগীর বাবু জাবেদ হোসেন,সিপন গাজী, মূসা তপাদারসহ অন্যান্যরা।
মানববন্ধনে সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তারা বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রায়ই সাংবাদিকরা হামলার শিকার হচ্ছেন। কিন্তু তার কোনো বিচার হচ্ছে না। আজ সাংবাদিকদের ওপর হামলার বিচার না হওয়ায় জামালপুরের সাংবাদিক নাদিমকে হত্যা করা হয়েছে। সাংবাদিক নির্যাতনের বিচারহীনতার কারণে আজকে গোলাম রব্বানী নাদিমকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। যারা এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তাদের সুষ্ঠু বিচারের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। যাতে করে আর কোন সাংবাদিককে নাদিমের মতো জীবন হারাতে না হয়। অন্যথায় আরও কঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গোলাম রাব্বানী নাদিম বকশীগঞ্জ উপজেলার নিলাখিয়া ইউনিয়নের গোমের চর গ্রামের আবদুল করিমের ছেলে। বুধবার (১৪ জুন) রাতে পেশাগত দায়িত্বপালন শেষে বাড়ি ফেরার পথে বকশীগঞ্জের পাথাটিয়ায় পৌঁছালে অস্ত্রধারী ১০ থেকে ১২ জন দুর্বৃত্ত নাদিমকে পিটিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
এরপর রাত ১২টায় সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বৃহস্পতিবার সকালে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা পৌনে ৩টার দিকে তিনি মারা যান