বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের শেষ মুহুর্তে প্রার্থীরা বিরামহীন প্রচারণায় ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন। প্রার্থীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতা থেকে শুরু করে স্ত্রী এবং আত্মীয়-স্বজনরা জোর প্রচারণায় নেমেছেন।
জানা যায়, এখন পর্যন্ত আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক রয়েছে। যদিও জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকের প্রার্থী সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেছেন, গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করছেন। নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে। সরকারের দু’একটা গোয়েন্দা সংস্থা একজন বিশেষ প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন, যা বরিশালবাসীর চোখে ধরা পড়ছে।
সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ থাকায় প্রার্থীরা নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বিভক্ত হয়ে নেতা-কর্মীদের সহায়তায় গণসংযোগ করছেন। হ্যান্ডবিল বিতরণসহ ব্যানার-পোস্টারে তিল ধরণের ঠাঁই নেই নগরীর প্রাণকেন্দ্রে।
তিনি আরও বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে বিনীত অনুরোধ করব, তিনি যেন বিষয়টি লক্ষ্য রাখেন। আর যারা এই দৌড়ঝাঁপ করছেন, তাদের বলব আপনারা জনগণের বিপক্ষে যাবেন না। জনগণের বিপক্ষে গেলে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ভালো হবে না।
এদিকে হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মুফতি ফয়জুল করীম ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচনী প্রচারণাকালে হামলার ঘটনায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আইনি ব্যবস্থা চেয়ে আবেদন করেছেন। এছাড়া প্রচারণায় বাধা প্রদানের জন্য পুলিশের তিন সাব ইন্সপেক্টরকে নির্বাচনী দায়িত্ব না দেওয়ার জন্য পুলিশ কমিশনারের কাছে আবেদন করেছেন।
আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির বলেন, শনিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের সকল প্রকার প্রচার-প্রচারণা বন্ধ হচ্ছে। ১২ জুন শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণের জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। নির্বাচন উপলক্ষে ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হবে।