রাজশাহীর বাগমারায় কৃষকের জমি থেকে ধান কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নের কামারবাড়ি গ্রামের দরিদ্র কৃষক আব্দুল মজিদ এর জমি থেকে ধান কেটে নেয় একই গ্রামের প্রভাবশালী মকবুল মৃধা ও তার ছেলে মোয়াজ্জেম।
প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায় গত ২৫শে মে বৃহস্পতিবার মকবুল ও তার ছেলে সহ কয়েক জন মিলে আব্দুল মজিদের জমি থেকে ধান কেটে নিয়ে যায়।
কৃষক আব্দুল মজিদ জানান,আমি গত ২০১০ সালে সরকারি খাস জমি জেলা প্রশাসকের নিকট হতে ৯৯ বছরের জন্য জমি লিজ নিই। তারপর থেকে আমি নিজেই সেই জমিতে চাষাবাদ করে আসছি।এই জমি দখলের জন্য আমি ও আমার পরিবারের উপর বিনা কারণে ৮টি মামলা দায়ের করেছে মকবুল মৃধা।সেই মামলার হাজিরা দিতে আমি ও আমার ছেলে রাজশাহী কোর্টে গেলে সেই সুযোগে মকবুল মৃধা,তার ছেলে মোয়াজ্জেম মৃধা সহ কয়েক জন মিলে সকলের সামনে জমির ধান কেটে নিয়ে যায়।ধান কাটার সময় প্রত্যক্ষদর্শীরা প্রতিবাদ করলে মারার হুমকি দেয় মকবুল ও তার ছেলে।
এছাড়াও কৃষক আব্দুল মজিদ জানান,এর আগে পরপর ৩বার আমার জমির ফসল (ঘাস মারা) কিটনাশক প্রয়োগ করে নষ্ট করে। তবুও আমরা ওদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস করিনি।
এ ব্যাপারে কামারবাড়ি গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সাবের আলী জানান, ২০৮ নং কামারবাড়ি মৌজার ১৩ শতক জমি আব্দুল মজিদ জেলা প্রশাসকের নিকট হতে লিজ নেয় এবং সেই লিজের কাগজে তৎকালীন বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম আবু হোরাইরা’র সাক্ষর সহ সকল কাগজ পত্র থাকার পরেও মকবুল মৃধা ধান কেটে নিয়ে চলে গেছে যা খুবই দুঃখ জনক।
কৃষক আব্দুল মজিদ এর ছেলে রুবেল হক বলেন,২২/৮/২০১০ সালে জেলা প্রশাসক এর নিকট হতে আমার বাবা আব্দুল মজিদ ও মা আনোয়ারা বিবির নামে দুই দাগে মোট ১৩শতক জমি লিজ দেয়।সকল বৈধ কাগজ থাকার পরেও আমরা শান্তি তে চাষাবাদ করতে পারি না।কখনো ফসল নষ্ট করে কখনও ধান কেটে নেয়।
এ ছাড়া আরও বলেন,মকবুল মৃধার ছেলে মোয়াজ্জেম মৃধা বহুদিন যাবৎ পুলিশ পরিবারের সদস্য পরিচয় দিয়ে প্রভাব বিস্তার করে আসছে।
ধান কেটে নেওয়া মকবুল মৃধার ছেলে জানান,জমিটি আমাদের ছিল তবে কিভাবে যেন এটা খাস জমিতে পরিনত হয় তারপর আমরা মামলা করে এই জমির মালিকানা পেয়েছি তাই আমরা ধান কেটে নিয়েছি।এই মামলায় ওদের ৬মাসের কারাদন্ড দিয়েছে আদালত।
এ ব্যাপারে বাগমারা উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মাহামুদুল হানান এর মুঠো ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
বাগমারা থানার ইনচার্জ (ওসি) আমিনুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,এমন কোন অভিযোগ এখনও আমরা পাইনি তবে অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।