|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
মঞ্চ নাটক ‘সাইলেন্স’
প্রকাশের তারিখঃ ২২ মে, ২০২৩
বাগুইআটি নৃত্য মন্দির (বি এন এম) কলকাতা প্রযোজিত নাটক সাইলেন্স, এটি একটি ননভার্বেল থিয়েটার, আমাদের জীবন যাত্রার সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম অনুভূতি , আবেগ, যন্ত্রণা ছোট ছোট ঘটনা ক্রম গুলি কোরিওগ্রাফির মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন সোমা গিরি। সৃজনশীল নির্দেশক অরবিন্দ গিরি। নাটকটি অংশগ্রহন করেন মামনী দাস, সোমা দাস, ঈশিকা শ্রীবাস্তব, রেশমি বারা,অরবিন্দ গিরি, সোমা গিরি, নেপথ্যে : অঙ্কুশ গিরি, জেভিয়ার বারা । আলোকসজ্জ্বা সাহেব সান্যাল । আবহ সংগীত করেন শিল্পী দিশারী চক্রবর্তী
নির্দেশক সোমা গিরি বলেন, লকডাউনের বন্দি দশায় পৃথিবী যখন থমথমে - সারা বিশ্ব যখন মহামারির কবলে , ঠিক এই সময়েই আমি গৃহবন্দী অবস্থায় একাকীত্বে নিজেকে অন্যভাবে উপলব্ধি করেছি। একজন শিক্ষক হয়ে আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে একজন ছাত্র ছাড়া একজন শিক্ষকের অস্তিত্ব নেই। সেই সাথে অবচেতন মনের সুপ্ত অনুভূতিগুলোও বেরিয়ে আসে। এগুলি প্রতিটি মহিলার ব্যক্তিগত অনুভূতি। তখন বেশ কিছু মেয়ের সুপ্ত অনুভূতির সাথে পরিচিত হলাম। যার মধ্যে হতাশা, ক্ষোভ, আকাঙ্ক্ষা, ভয় সবকিছুই বেরিয়ে আসতে চেয়েছিল এবং তা থেকেই 'সাইলেন্স' এর জন্ম। তারপর আমি লকডাউন সময়কালে আবাসিক কর্মশালার মাধ্যমে আমার বাড়িতে আমার ছাত্রীদের সাথে সাইলেন্স নামে আমার প্রযোজনা শুরু করি। আবহ সংগীত শিল্পী দিশারী চক্রবর্তী এটির মধ্য দিয়ে যান এবং এই আবহ সঙ্গীতের সৃষ্টি করেন ।
সোমা গিরি ১৭ই সেপ্টেম্বর, ১৯৭৫ সালে মুর্শিদাবাদের বহরমপুর এ জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ডঃ মঞ্জুশ্রী চাকি সরকার এবং রঞ্জাবতী সরকারের সুদক্ষ ও অপূর্ব নির্দেশনার অধীনে ডান্সার্স গিল্ডের সাথে কাজ শুরু করেন। তিনি গুরু খগেন্দ্রনাথ বর্মনের অধীনে ভরতনাট্যমে রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণীর স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। আম্বালি প্রহরাজকে তার গুরু হিসেবে পাওয়ার সৌভাগ্যও তার ছিল।
১৯৯০ সালে সোমা গিরি থিয়েটারে তার যাত্রা শুরু করেন। তিনি রামনজিৎ করের সাথে কাজ করেছেন বহুবছর। তিনি একজন উচ্চাভিলাষী সমসাময়িক নৃত্যশিল্পী যিনি বিভিন্ন স্তরের নৃত্য পরিবেশন করেন। সোমার কাজ বিশুদ্ধ অঙ্গ প্রত্যঙ্গ পরিচালনার উপর জোর দেয় যা স্পন্দনশীল অনুভূতির মাধ্যমে দর্শককে নাটকীয়ভাবে প্রভাবিত করে। তিনি কেরালা আর্ট ফর্ম কালারিপায়াত্তুতে কাজ করছেন। তিনি গুরু অজিত কুমারের (এমএমসি কালারি কেরালা) সহযোগিতায় মহিলা কালারিপায়াত্তু নৃত্য দল গঠন করেন। পরবর্তীকালে ডক্টর মুরুগণ পিল্লাই এর থেকে নর্থ কালারির শিক্ষা গ্রহণ করেন। তিনি উদয়শঙ্কর নৃত্য উৎসবে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামা আয়োজিত ভারত রং মহোৎসব অংশগ্রহণ করেছেন। বর্তমানে তিনি ননভার্বাল থিয়েটার নিয়ে কাজ করছেন।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.