|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
পটুয়াখালী সদর উপজেলার ১২নং বড় বিঘাই ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মোঃ জামাল হাওলাদার এর বিরুদ্ধে ভিজিডি
প্রকাশের তারিখঃ ২১ মে, ২০২৩
পটুয়াখালী সদর উপজেলার ১২নং বড় বিঘাই ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ জামাল হাওলাদার এর বিরুদ্ধে ভিজিডি, ভিজিএফ টিসিবির পণ্য সহ কাচা রাস্তা নির্মানে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে এরমধ্যে একটি কাচা সড়ক নির্মান করলেও সরেজমিনে তার কোন অস্তিত্ব খুজে পাওয়া যায়নি। এ বিষয় গতকাল বিকেল ৪ ঘটিকার সময় এ সকল অনিয়মের বিরুদ্ধে একাধিক এলাকাবাসী ইউপি সদস্য জামালের বিরুদ্ধে ৯ নং ওয়ার্ডবাসী স্থানীয় মিরাবাড়ীর সামনের ওয়াপদা সড়কে একটি মানববন্ধনের আয়োজন করেন। উক্ত মানববন্ধনে বক্তারা জামালের বিভিন্ন অনিয়ম ও দর্নিতির চিত্র তুলে ধরেন, এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য জনৈক জসিম মিরার মাকে বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেয়ার নামে তার কাছ থেকে সারে ৭ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এবং জনৈক কাদের এর কাছ থেকেও আরও সারে ৭ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ ছারা ও ঐ এলাকার বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে টিসিবির কার্ড করে দেয়ার নামে বেশকিছু টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে ইউপি সদস্য জামালের বিরুদ্ধে। এদিকে পূর্ব ঘোষীত মানববন্ধন বাঞ্চাল করার জন্য ইউপি সদস্য জামাল তার দলবল নিয়ে ঘটনা স্থলে হাজির হয়ে মানববন্ধন বাঞ্চালের চেষ্টা চালিয়ে ব্যার্থ হয়ে ফিরে যেতে বাধ্য হয়। এদিকে এলাকাবাসী বলছে জামাল হাওলাদার ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আওয়ামীলীগ নেতাকে মৃত্যু দেখিয়ে তার প্রপ্য সরকারি প্রণোদনা আত্মসাৎ করা চেষ্টা করলেও পরবতীতে পটুয়াখালী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপের কারণে সেটা আর করে উঠতে পারেনি। এ ছারা ও জামালের কারণে এলাকায় তার রোষানলের স্বীকার হয়েছেন অনেকেই, তবে জামালের ভয়ে এ বিষয় প্রকাশ্যে অনেকেই কথা বলতে রাজি হয়নি। এদিকে জামাল হাওলাদার ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর বিভিন্ন অনিয়ম এবং মানুষকে কুপিয়ে ঝখম করাসহ তার বিরুদ্ধে বর্তমানে একাধিক মামলা পটুয়াখালী আদালতে চলমান রয়েছে, এর মধ্যে মামলা নং জি আর ১৬৭/২২ ধারা ১৪৩/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩৭৯/৫০৬ পেনাল কোড ১৮৬০ এ মামলায় তিনি দীর্ঘদিন হাজতবাস করেছেন, এ ছারা ও তার বিরুদ্ধে পিটিশন মামলা নং ৭৯/২২ মামলাটি চলমান রয়েছে। এ বিষয় এলাকাবাসী বলছে একজন হাজতবাস করা মানুষ কিভাবে জনগণের সেবা প্রদান করবেন, জামাল মেম্বারের ভয়ে বর্তমানে এলাকাবাসী আতংকিত রয়েছে, এ বিষয় পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক পুলিশ সুপার মহোদয় এবং জেলার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করছেন এলাকাবাসী। তাকে স্ব পদে বহাল রাখলে এলাকায় কোন প্রকার উন্নয়নের ছোয়া লাগার কোন সম্ভাবনা নেই বলে দাবী স্থানীয়দের। এ বিষয় অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মোঃ জামাল হাওলাদার এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.